২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:৩১:৩৬ অপরাহ্ন


মানুষের নামে পশুর নামকরণের বিধান
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৫-২০২৪
মানুষের নামে পশুর নামকরণের বিধান ছবি: সংগৃহীত


আদর করে পোষা পশুপাখির বিভিন্ন নাম রাখার প্রচলন প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মধ্যে আছে। ইসলামে এ রকম নামকরণ করা ও ওই নামে পশুপাখিকে ডাকা নাজায়েজ নয়।

নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও সাহাবিরাও নিজেদের পোষা পশুপাখির নাম রাখতেন। যেমন আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুটি খচ্চরের নাম ছিল দুলদুল ও আফির। তার পালিত উট ও ছাগলগুলোরও বিভিন্ন নাম ছিল। আনাস (রা.) বলেন, নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘আজবা’ নামের এক উষ্ট্রী ছিল। দৌড় প্রতিযোগিতায় কোনো উটই তাকে পরাজিত করতে পারত না। একবার জনৈক গ্রাম্য আরব একটি উটের পিঠে আরোহণ করে এলো এবং তাকে পেছনে ফেলে দিল। এতে মুসলমানরা মনক্ষুণ্ন হলো। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, দুনিয়ার কোনো কিছুর উন্নতিই স্থায়ী নয়। কোনো কিছু উন্নত হলে কখনও আল্লাহ তাকে অবনত করে দেন। (সহিহ বুখারি: ২৮৭২)

তবে বিশেষ কোনো ব্যক্তিকে তাচ্ছিল্য বা বিদ্রূপ করার উদ্দেশ্যে তার নামে পশুর নামকরণ করা নাজায়েজ। যেহেতু এটা ওই ব্যক্তির সম্মানহানি ও মনোকষ্টের কারণ হয়। মানুষকে তাচ্ছিল্য বা বিদ্রূপ করতে নিষেধ করে আল্লাহ তাআলা বলেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡهُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُنَّ خَیۡرًا مِّنۡهُنَّ وَ لَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ بِئۡسَ الِاسۡمُ الۡفُسُوۡقُ بَعۡدَ الۡاِیۡمَانِ وَ مَنۡ لَّمۡ یَتُبۡ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ

হে মুমিনরা, কোন সম্প্রদায় যেন অপর কোন সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর কোন নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমান আনার পর মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ। যারা এ ধরণের আচরণ থেকে নিবৃত্ত না হয় তারা জালিম। (সুরা হুজুরাত: ১১)