সুনামগঞ্জের দুই উপজেলায় গত ৩দিনে শিশু ও বৃদ্ধ নারীসহ ৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মৃতরা হলো- জেলার দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়ননের হাসিমপুর গ্রামের ললিত মোহন রায়ের স্ত্রী বদ্ধা সুভাষী রায় (৭০), একই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের প্রদীপ দাসের ছেলে প্রমিত দাস (৫), একই গ্রামের দিপু দাসের ছেলে রক্তিম দাস (৬), দীপক দাসের মেয়ে বৃন্দা রানী দাস (৭) ও হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত সুকলাল দাসের ছেলে সুসংকর দাস (৫০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- শুক্রবার (১ এপ্রিল) বেলা অনুমান সাড়ে ১১টার দিকে জেলার দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের পাশর্^বর্তী বালি বিলে খেলা করতে গিয়ে ৩শিশু প্রমিত দাস (৫), রক্তিম দাস (৬) ও বৃন্দা রানী দাস (৭) গর্তের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরে সন্ধ্যায় বিলের পানিতে ওই ৩শিশুর লাশ ভেসে উঠলে এলাকার লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে একই উপজেলার শ্যামারচর সড়কে বৃদ্ধা সুভাষী রায়কে যাত্রীবাহী একটি মোটর সাইকেল ধাক্ষা দিলে তিনি ছিটকে রাস্তায় পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে এলাকার লোকজন ওই বৃদ্ধ নারীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে পৌছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
অন্যদিকে গত বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল অনুমান সাড়ে ১০টার সময় জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের সীমান্ত নদী যাদুকাটার তীরবর্তী রাজারগাঁও গ্রামে গঙ্গা¯স্নান করতে এসে সুশংকর দাসের মৃত্যু হয়।
দিরাই থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ও তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার পৃথক ঘটনায় ৫জনের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।