রাজশাহী নগরীর কাটাখালি দালাপাড়া এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে নূরভানু নামের এক নারীর বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে একই এলাকার সাজ্জাজ তার ছেলে সাব্বির ও তাদের ভাড়াকরা গুন্ডা বাহীনিরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে এই তান্ডব চালায় তারা। এ সময় ৯৯৯—এ কল দেন বাড়ির মালিক নূরভানু। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রায় আড়াইঘন্টা পরে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এসআই নুর মোঃ এর নেতৃত্বে সাজ্জাদের ছেলে সাব্বিরের হাতে থাকা হাম্বুর ,হাসুয়া—সহ তাকে ও তার ভাড়াটিয়া ৭জনকে আটক করে। ভাড়াটিয়া সকলেই শাহমখদুম থানার দায়রা পার্কের মোড় এলাকার বাসিন্দা (কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য)। পরে অজ্ঞাত কারনে তাদের ছেড়ে দেন এসআই এবং বলেন সন্ধা ৭টার সময় আপনারা থানায় আসেন।
স্থানীয় মোঃ ফারুক হোসেন—সহ একাধীক স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার বাইরে থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে বাড়ি ভাংচুর নূরভানুর স্বামী নূর ইসলাম ও তার ছেলে মোঃ ইসরাফিলকে (২১), মেরে ফেলবো বলে খেঁাজাখুজি সত্যিই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের শামিল। কাটাখালি থানার এসআই সাব্বিরের হাতে থাকা হাম্বুর ,হাসুয়া—সহ তাকে ও তার ভাড়াটিয়া ৭জন সন্ত্রাসীদের আটক করে ছেড়ে দিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের জম্ন দিয়েছে। এই তান্ডবের বিরুদ্ধে পুলিশের ভুমিকা সন্দেহজনক। পুরো এলাকার লোকজন তাদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে থাকলেও শুধু পুলিশ তাদের পক্ষে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন স্থানীয়রা।
বাড়ীর মালিক মোসাঃ নূরভানু জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় আমার বাড়ির পেছনে বাথরুমের কাছে সাজ্জাদ ও তার ছেলে সাব্বির একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে অবস্থান করতে দেখি। মূহূর্তেই তারা হাম্বুর রামদা, দা দিয়ে আমার বাতরুম, ঘর ও টিন ভাংতে শুরু করে। এ সময় তারা আমার স্বামী সন্তানকে হত্যা করবে বলে খঁুজতে থাকে। প্রাণভয়ে আমি তাদের সরিয়ে দেই এবং ৯৯৯—এ কল করি। পুলিশ আড়াই ঘন্টা পরে এসে সব্বির ও তার ভাড়া করা ৭জন সন্ত্রীকে আটক করে অজ্ঞাত কারনে ছেড়ে দেয়। আবার আমাদেরকেই গালি দেয় এবং মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয় পুলিশ। আমরা এখন নিরাপত্তা হিনতায় ভূগছি।
জানতে চাইলে কাটাখালি থানার এসআই নুর মোঃ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, আটক করেছিলাম ওসি স্যারের নির্দেশে ছেড়ে দিয়েছি এবং উভয় পক্ষকে সন্ধা ৭টায় থানায় আসতে বলেছি।
জানতে চাইলে কাটাখালি থানার অফিসার ইসচার্জ (ওসি), মোঃ তৌহিদুর রহমান জানান, হামলার ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।