২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:৪৮:৪১ পূর্বাহ্ন


মতিহারে কলেজ ছাত্রকে অপহরণ; ৩জন অপহরণকারী গ্রেপ্তার
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৫-২০২৪
মতিহারে কলেজ ছাত্রকে অপহরণ; ৩জন অপহরণকারী গ্রেপ্তার মতিহারে কলেজ ছাত্রকে অপহরণ; ৩জন অপহরণকারী গ্রেপ্তার


রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার শাহমখদুম কলেজের সামনে থেকে এক কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ৩জন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত হলো: মোঃ জহুরুল হোসেন রেন্ট(৩৫), সে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডী কড়ইতলার মৃত খয়রাত আলীর ছেলে, মোঃ রাসেল (৩২), সে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা জামালপুরের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে ও মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩০), সে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার মাছপাড়ার মোঃ সারোয়ার হোসেনে ছেলে।

বুধবার  দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ জামিরুল ইসলাম। তিনি জানান, জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার পুনট পূর্বপাড়ার আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে তামিম বঙ্গবন্ধু কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। মঙ্গলবার (২১ মে) বিকাল পৌনে ৩ টায় তামিম তার বান্ধবীকে সঙ্গে তালাইমারী থেকে অটোরিকশায় সাহেব বাজার যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মতিহার থানার তালাইমারী এলাকা হতে আসামি জহুরুল-সহ আরও দুইজন ইসমাইল হোসেনের অটোরিকশা নিয়ে তাদের রিকশার পিছু নেয়। এদিন বিকাল ৩ টায় বোয়ালিয়া থানার শাহমখদুম কলেজের সামনে পৌঁছালে তারা তামিমকে জোর করে রিকশা থেকে নামিয়ে অপহরণ করে রানীনগর এলাকার গলি রাস্তা দিয়ে তালাইমারী তিন রাস্তার মোড়ে নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারীরা তামিমের বাবার মোবাইল ফোনে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ইতোমধ্যে তার বান্ধবী পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে।

সংবাদ পেয়ে নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোঃ মোবারক পারভেজের নেতৃত্বে পুলিশ দ্রুত সংবাদদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং অপহরণকারীদের ধাওয়া করে। পরে মতিহার থানার রুয়েট ফ্লাইওভারের কাছ থেকে আসামি জহুরুল ইসলাম রেন্টু ও রিকশা চালক ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে এবং অপহৃত তামিমকে উদ্ধার করে এসআই হাসান, সেকেন্ড অফিসার এসআই পলাশ ও সঙ্গীয় ফোর্স। তবে তার দুই সহযোগী অপহরণকারী পালিয়ে গেছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি জহুরুল ইসলাম রেন্টুর বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি,সরকারি কর্মচারী হিসেবে প্রতারণা করার অপরাধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে এবং পলাতক অপর দুই অপহরণকারীর বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা রুজু করা করা হয়েছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বুধবার সকালে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।