রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী, বিশেষ করে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। কার কত সম্পদ-সম্পত্তি তা জানারও আগ্রহ সবার। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জিএম হিরা বাচ্চু (মোটরসাইকেল), জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ (আনারস) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক মাসুদ (ঘোড়া প্রতিক)। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী এই তিন প্রার্থীদের মধ্যে সম্পদে এগিয়ে আছেন আহসান উল হক মাসুদ (ঘোড়া)। তার নগদ টাকা রয়েছে ৩০ লাখ। ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী আহসানুল হক মাসুদ বিএসএস পাশ, পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। তার হলফনামায় দেখা যায়, রাজশাহীর আমলী আদালতে দুইটি ফৌজদারী মামলা চলমান। কৃষি খাত থেকে মাসুদের বছরে আয় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। হাতে নগদ টাকা রয়েছে ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫৯ টাকা। ব্যাংকে রয়েছে ১৬ হাজার ১৭৩ টাকা। রয়েছে ২৬ লাখ টাকা মূল্যের মাইক্রোবাস ও দুই লাখ টাকার মোটরসাইকেল। নিজের নামে রয়েছে ১০ ভরি স্বর্ণ। কৃষি জমি রয়েছে দানসূত্রে পাওয়া ৮লাখ টাকা মূল্যর দশমিক ৪৪০০ একর।
অকৃষি জমি রয়েছে ২১ হাজার ২২৪ টাকা মূল্যে ০.০০০৯ একর জমি। রয়েছে ৫৫ হাজার ৬৪০ টাকার একটি দালান বাড়ি। কোন ঋণ নাই। তার স্ত্রী শিক্ষকতা করেন। তার বাৎসরিক আয় প্রায় ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭২১ টাকা। স্ত্রীর রয়েছে ২৫ ভরি স্বর্ণ। নগদ টাকা রয়েছে ২৫ হাজার ৯৫২ টাকা। জমি রয়েছে ২ দশমিক ১৬৫ একর জমি। অকৃষি জমি রয়েছে ৭লাখ ৪হাজার টাকার শূন্য দশমিক শূন্য শূণ্য ৫৩১৭ একর। দশমিক শূণ্য ২২৫ একর জমি যার মূল্য জানা নাই। প্রাইজবন্ড কেনা আছে ১লাখ টাকার। বোনকে ঋণ দেয়া আছে এক লাখ টাকা। ডিপিএস করা আছে ১লাখ ২২ হাজার ৬৮৮ টাকার। ফ্রিজ টিভি ওয়াসিং মেশিন ও গিজার আছে ১লাখ ১০হাজার টাকার। বৈবাহিক সূত্রে পেয়েছে ৯০ হাজার টাকার আসবাবপত্র। আহসান উল হক মাসুদ নিজের অফিসের আসবাবপত্র দেখিয়েছেন ২লাখ ১৭ হাজার ১০ টাকার।
পুঠিয়ার বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু এবার লড়ছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে। তিনি বিএসএস পাশ। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান পেশায় কৃষিজীবী। বর্তমানে ফৌজদারী কোন মামলা নাই তার নামে। তার মোট বাৎসরিক আয় ৫ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা তিনি আয় করেন উপজেলা পরিষদের বেতন ভাতা থেকে। তার নগদ রয়েছে ২ লাখ টাকা। রয়েছে ২০ ভরি স্বর্ণ ও একটি মোটরসাইকেল।
এছাড়াও রয়েছে আধাপাকা বাড়ি ও অর্জনকালীন সময়ে ২ লাখ টাকা মূল্যের কৃষি জমি। স্ত্রী নামে রয়েছে ১৪শতক কৃষি জমি। নির্ভরশীলের নামে ১০ শতক কৃষি জমি। অকৃষি জমি স্ত্রীর নামে আছে দেড় কাঠা ও তিনটি পাকা ঘর। রয়েছে দুইটা ফ্রিজ, একটি টিভি, ৬টি ফ্যান ও একটি এসি। আসবাসপত্র রয়েছে তিনটি খাট, দুইসেট সোফা।
পুঠিয়া উপজেলার অপর প্রার্থী আব্দুস সামাদ লড়ছেন আনারস প্রতীক নিয়ে। এলএলবি পাশ আব্দুস সামাদের পেশা আইনজীবি। তার নামে বর্তমানে কোন ফৌজদারী মামলা নাই। আইনপেশা থেকে বছরে তার আয় ৯লাখ টাকা। কৃষি থেকে আয় দেড় লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে দোকান ও ভাড়া থেকে আয় ৭২ হাজার টাকা। সামাদের হাতে নগদ টাকা রয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। নিজ নামে রয়েছে পাকা বাড়ি। একটি মোটরসাইকেল রয়েছে ১লাখ ৭হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে রয়েছে দুই লাখ টাকা। স্ত্রীর রয়েছে ১০ ভরি স্বর্ণ ও একটি বাড়ি। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ২লাখ ৮৯ হাজার টাকার। আসবাবপত্র আছে ৩লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে কৃষি জমি আছে দশমিক ০৪৯৫ একর। তার কোন ঋন নাই।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।