রাজশাহীর তানোরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম ছিল ‘নটীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। এ নিয়ে হাসি-ঠাট্টার মুখে পড়তেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। খুদে শিক্ষার্থীরাও স্কুলের এমন নামের নেতিবাচক অর্থ বুঝে কষ্ট পেতেন। এ নিয়ে ক্ষোভ ছিল অভিভাবকদেরও।
অবশেষে এ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে বিদ্যালয়টির নাম ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তানোর, রাজশাহী’। এমন নাম পেয়ে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
একই রকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ছিলেন নাটোরের বড়াইগ্রামের ‘নেংটাদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও। তাদের বিদ্যালয়ের নামেও পরিবর্তন এনেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিদ্যালয়ের নাম পাল্টে ‘শাপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়াইগ্রাম, নাটোর’।
নটীপাড়া, নেংটাদহসহ শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক অর্থ দাঁড়ায় সারাদেশের এমন ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে পরিবর্তন করে ‘ভালো’ নামে নামকরণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নামে পরিবর্তন আনার তথ্য জানানো হয়। এতে সই করেছেন উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দিন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা, ২০২৩-এর নীতি ৪(ক) ও ৫ অনুযায়ী একবারে ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নাম পাল্টে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিদ্যালয়: নামে পরিবর্তন আনা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শুধু নাটোরেরই ৫১টি। তার মধ্যে অন্যতম নাটোর সদর উপজেলার বলদখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম স্বপ্নসিঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মদনহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে শিশু কানন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পদ্মপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালপুর উপজেলার গোদাগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সালামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
নওগাঁর কাউয়াপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে রক্তজবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিকটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে বনলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিয়ালমারার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সীমান্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামালপুরের রামরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে নামকরণ করা হয়েছে।