রাজশাহীর বাগমারায় সোহাগ হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ আসাদুল ইসলামকে (৪৫), গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেফতার মোঃ আসাদুল ইসলাম (৪৫), সে বাগমারা থানার মরুগ্রামের মৃত লবির উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ২ফেব্রুয়ারি বাগমারা থানার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে মোঃ নজরুল ইসলাম গাওরা, নওশাদ গাওরা, একই গ্রামের রহিদুল, ও জামাল নামের দুই ভাইয়ের সাথে একটি সরকারি জমিকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের ভেতর তর্কাতর্কি হয়। এরই মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন নজরুল ইসলামের ভাতিজা মনোয়ার হোসেন। রস নজরুলের লিজ নেওয়া পুকুর পাড়ে নিজেদের সরিষা খেতে যান। এ সময় প্রতিপক্ষ আসাদুলের লোকজন মনোয়ারের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে তারা মনোয়ারকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়। এ সময় মারামারিতে আসাদুলের পক্ষের মুসলেম নামের এক ব্যক্তিও আহত হয়। পরে মনোয়ারকে উদ্ধার করে নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন।
মনোয়ারের আহত হওয়ার খবর পেয়ে তাকে দেখতে আসেন (ঢাকা থেকে) তার চাচাতো ভাই ইমরান এবং সহকর্মী সোহাগ ও রনি। তারা সন্ধ্যায় আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মনোয়ারকে দেখতে যান। এরপর রাত ৯টার দিকে আত্রাই থেকে একটি সিএনজি নিয়ে ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে মনোয়ারের বাড়িতে যান। তারা এলাকায় গেলে গ্রামে বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে আনা হয়েছে বলে প্রচার চালায় আসাদুল ইসলামের লোকজন। এ নিয়ে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আসাদুলের লোকজন ডাঙ্গাপাড়া মোড়ে সিএনজি চালকসহ তিনজনকে ঘিরে রাখে। এ সময় সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে সোহাগকে মাঠের মধ্যে ধারালো শাবল দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর নিহত সোহাগের চাচাতো ভাই যশোর হতে গত ০৩/০২/২০২৪ তারিখে বাগমারা থানাতে এসে মোঃ সাইফুল ইসলাম সাগর (২২) বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি ১০/১১ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আহত বন্ধু মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সোহাগ (২২) ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ওই মামলায় আসামী মোঃ আসাদুল ইসলাম পলাতক ছিলো। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বাগমারা থানার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।