রাজশাহী থেকে অর্থ নিয়ে আত্মগোপনে থাকা মুক্তা পারভিন (৩১), নামের এক নারী প্রতারককে আটক করেছে র্যাব-১০ এর সদ্যরা।
তিনি কখনো হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো ডিজিএফআইয়ের মেজর পরিচয় দিতেন।
আটককৃত প্রতারক নারী মুক্তা পারভিন (৩১), তিনি নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলার রৌহদিপুরগ্রামের আজাহারুল ইসলামের মেয়ে।
র্যাব-১০ একটি দল রাজবাড়ীর সদর এলাকায় অভিযান অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটক মুক্তা চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একজনের কাছ থেকেই এক কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা-সহ বিভিন্ন এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র নিজেদের হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট, ডিজিএফআইয়ের মেজরসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে সহজ-সরল ও নিরীহ লোকজনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।
চক্রটি রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম এলাকার শেখ আব্দল্লাহ (৩৭) নামের একজনের কাছ থেকে সরকারি দপ্তরে চাকরি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শেখ আব্দুল্লাহ বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে শেখ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা মুক্তা পারভিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন নজরুল ইসলাম (৫৫), তৌহিদুল ইসলাম শুভ (২৮), মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৫), পলাশ রাঙ্গা (৩৮), শাহীন রেজা (৩৫), আলমগীর হোসেনসহ (৪০)।#