২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১১:০৮:১০ অপরাহ্ন


কেমন হল করিনা-তাব্বু-কৃতীর ‘ক্রু’
তামান্না হাবিব নিশু :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৩-২০২৪
কেমন হল করিনা-তাব্বু-কৃতীর ‘ক্রু’ কেমন হল করিনা-তাব্বু-কৃতীর ‘ক্রু’


এবার বলিউডের তিন সুন্দরীকে নিয়ে তৈরি করেছেন হাইস্ট কমেডি। পরিচালক রাজেশ কৃষ্ণাণ এর আগে ‘টিভিএফ ট্রিপলিং’, ‘লুটকেস’-এর মতো সিনেমা তৈরি করেছেন  ‘ক্রু’ সিনেমা। অর্থাৎ যাতে হাসির মোড়কে চুরির গল্প। গীতা শেট্টি (তাব্বু), জাসমিন কোহলি (করিনা কাপুর) ও দিব্যা রাণা (কৃতী স্যানন), কোহিনূর বিমান পরিষেবার তিন বিমানসেবিকা। যারা হাসিমুখে যাত্রীদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করে কিন্তু নিজেরা নানা সমস্যায় জেরবার। কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? এই ভাবতে ভাবতেই ঘটে সেই ঘটনা। যাতে গোটা গল্পের মোড় ঘুরে যায়।

মাঝ আকাশে কোহিনূর বিমান সংস্থার কর্মী রাজবংশীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাই গীতা, জাসমিন, দিব্যার জীবন পালটে দেয়। কারণ রাজবংশীর শরীরে লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছিল সোনা। এই সোনা পাচার চক্রেই জড়িয়ে পড়ে তিন কেবিন ‘ক্রু’। তার পর কী হয়? সিনেমা হলে গিয়ে দেখে নিতেই পারেন। কারণ? কারণ অবশ্যই বলিউডের তিন সুন্দরী। অভিনয়ের দিক থেকেও তাঁরা বলিষ্ঠ। তবে চিত্রনাট্যের আরও একটু বাঁধন প্রয়োজন ছিল।

গীতা, জাসমিন, দিব্যার জীবনের কাহিনি ও প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখাতে দেখাতেই প্রথমার্ধ কাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আবার বিমান সংস্থার দেউলিয়া হয়ে যাওয়া, কর্মীদের বেতন না পাওয়ার ঘটনাও রয়েছে। এই সমস্ত কিছুর নেপথ্যে রয়েছে বিজয় ওয়ালিয়া। যে অল্প অল্প করে সোনার মাধ্যমে বিপুল সম্পত্তি নিয়ে বিদেশে ফেরার হয়ে যায়। গীতা, জাসমিন, দিব্যা পড়ে যায় ফাঁপড়ে।

আশা ছিল দ্বিতীয়ার্ধে টুইস্ট বেশি থাকবে। কিন্তু তা কয়েকটি জায়গায় থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই হতাশ হতে হয়েছে। টিজার ও ট্রেলারে যে সংলাপগুলো মন কেড়েছিল, তার থেকে বেশি কিছু সিনেমায় দেখা যায়নি। বরং সেন্সরের কাঁচিতে সংলাপের ধার কমেছে। অবশ্য তিনি নায়িকা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। তাব্বু যেন পুরনো ওয়াইনের মতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও পরিণত হয়ে উঠেছেন। করিনা কাপুর সাবলীল। কৃতী বরং এখানে কিছুটা পার্শ্ব চরিত্র হয়ে গিয়েছেন। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রাজেশ শর্মা, দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ ও কপিল শর্মা যেন এক্সটেন্ডেড ক্যামিও করেছেন। সবমিলিয়ে বলতে গেলে, ‘ক্রু’ সিনেমা একবার দেখলেই যথেষ্ট।