২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৮:৩৬:৫২ পূর্বাহ্ন


তানোর ইউএনও'র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড়
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৩-২০২৪
তানোর ইউএনও'র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তানোর ইউএনও'র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড়


রাজশাহীর তানোরে অবৈধ দখলদারিত্ব কায়েম করতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  আদালতে মামলা করার অভিযোগ উঠেছে ।উপজেলার সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান বাদি হয়ে স্থানীয়  ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)  বিবাদী করে তানোর থানার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। যাহার মামলা নম্বর -২৪/২০২৪ তারিখ ২২/০২/২০২৪। এদিকে এই মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর পাশাপাশি  অফিস পাড়ায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। 

স্থানীয়রা বলছে, একজন প্রধান শিক্ষকের খুঁটির জোর কোথায়? যিনি অযৌক্তিক দাবি আদায়ে সরকারের উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। তারা বলেন, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, অন্যরাও ঠুনকো অজুহাতে অবৈধ দাবি আদায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে উৎসাহী হবে। এমনটি হলে সরকারি কর্মকর্তাগণ স্বাধীনভাবে কাজ করার আগ্রহ হারাবে।

জানা গেছে, সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার দক্ষিন দিকের রাস্তা প্রসারিত করতে বিদ্যালয়ের  ওই জায়গা সরকার অধিগ্রহণ করেছেন।অধিগ্রহণের টাকাও স্কুল গ্রহণ করেছে।কিন্ত্ত ওই জায়গার দখল না ছেড়ে টিনের ঘর করে ভাড়া উঠাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল  হান্নান। 

এদিকে, ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারী তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দিয়েছেন। কিন্ত্ত তারা নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে এই অবৈধ দখলদারিত্ব কায়েম করতে প্রধান শিক্ষক এই মামলা করেছেন।

জানা গেছে,উপজেলার সরনজাই ইউপির আরএস খতিয়ান নম্বর ১০২৬, হাল দাগ নম্বর ৩১০৭ পরিমাণ ২২ শতাংশের কাত ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। ক্রয় সুত্রে উক্ত সম্পত্তির মালিক সরনজাই গ্রামের ওয়াজেদ আলীর পুত্র মুদিদোকানী আশরাফুল ইসলাম। তিনি বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় কুড়ি লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সেখানে চারটি পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন। তার ঘরের সামনে সরনজাই স্কুলের জায়গা দাবি করে জোরপুর্বক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে প্রধান শিক্ষক। এতে 

আশরাফুলের চারটি ঘরে যাতায়াতের পথ বন্ধ হওয়ায় ঘরগুলো কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে আশরাফুল পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একদিকে এনজিও ঋণের কিস্তির চাপ, অন্যদিকে নিজের ঘর ফেলে ভাড়া ঘরে ব্যবসা করতে গিয়ে আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে অথচ আরএস খতিয়ান নম্বর ৯৭৭ হাল দাগ নম্বর ১১৬৩ উক্ত দাগে মোট জমি ২১ শতাংশ এর মধ্যে ৩ দশমিক ৫০ শতক জমি রাস্তার জন্য অধিগ্রহণ করেছেন সরকার। যাহার এল,এ কেস নম্বর-২০/১৯৯৯-২০০০। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নাই, তবে এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে। এবিষয়ে উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার আমানত আলী বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নোটিশ দেয়া হয়েছে, কিন্ত্ত তারা আমলে নিচ্ছেন না। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সরনজাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে রাজু, শফিকুল ও তোফাজ্জুল বলেন, তারা হেড মাস্টারের কাছে থেকে অধিগ্রহণকৃত জমিতে করা দোকান ভাড়া নিয়েছেন।