রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিপুল পরিমান চুরির মালামাল সহ চোর মোঃ মমিন হোসেনকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুর দেড়টায় পুঠিয়া থানাধীন গন্ডগোহালী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় প্রায় ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার চুরির মালামাল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার মোঃ মমিন হোসেন (২৬), সে রাজশাহীর পুঠিয়া থানার গন্ডগোহালী গ্রামের মোঃ আঃ কুদ্দুসের ছেলে।
শুক্রবার র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, শুক্রবার দুপুরে পুঠিয়া থানাধীন গন্ডগোহালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামী মোঃ মমিন হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার ভাই ২নং পলাতক আসামী মোঃ সোহানের শয়নকক্ষের খাঁটের নিচ থেকে চারাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।
ওই সময় অন্যান্যপলাতক আসামী মোঃ সোহান (২৩), মোঃ সাব্বির হোসেন (৩৩), বসতবাড়ী থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়।
এর আগে গত(১৪ মার্চ) ঢাকা থেকে রাজশাহী অভিমুখে আসার পথে পুঠিয়া থানাধীন ঝলমলিয়া বাজার সংলগ্ন ভাঙ্গা ব্রীজের সামনে মামলার বাদী মোঃ লালনের (৩৮) মিনিট্রাকটির গতি কমালে কে বা কাহারা তার মিনিট্রাকে থাকা ত্রিপাল দিয়ে বাঁধা এ্যাডভ্যান্স ক্রপ কেয়ার এর ৬০৯ কার্টুন কীটনাশক মালামালগুলোর ত্রিপাল কেটে অভিনব কায়দায় তিন ধরনের ২৯ (উনত্রিশ) কার্টুন এ্যাডভ্যান্স ক্রপ কেয়ারের কীটনাশক চুরি করে। যার আমানিক মূল্য ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। পরে ভুক্তভোগী গত (২০ মার্চ) মৌখিকভাবে র্যাব-৫, রাজশাহীকে জানালে সদর কোম্পানী, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের নির্দেশেক্রমে কয়েকদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারী চালায়। এরই একপর্যায়ে গত (২১ মার্চ) র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক টহল দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইল নম্বরঃ ০১৭৮৫-৪০৭৭৩১ ট্রেকিং করে প্রধান আসামী মোঃ মমিন হোসেনকে আটক করেন এবং অপর আসামীরা বসতবাড়ির পিছন গেট দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ব্যপারে আসামীগদের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানায় চুরি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।