২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৩:৫৭:২৩ অপরাহ্ন


বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে জানতাম না স্বাধীনতা কাকে বলে’
মঈন উদ্দিন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৩-২০২৪
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে জানতাম না স্বাধীনতা কাকে বলে’ বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে জানতাম না স্বাধীনতা কাকে বলে’


রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মহ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, টুঙ্গীপাড়ার অজপাড়া গাঁয়ে যদি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো, তবে আমরা জানতাম না স্বাধীনতা কাকে বলে। তার ৫৫ বছর জীবনের প্রায় ১৩ বছরই কেটেছে কারাগারে।

বাঙালির জন্য যে, কত আত্মত্যাগ করেছেন তিনি তা বলে শেষ করার মতো নয়। তার একটাই লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ শীর্ষক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলকে যেভাবে ভালোবাসতেন, ঠিক তেমনি অন্য শিশুদেরও তিনি ভালোবাসতেন।

বঙ্গবন্ধুর শিশুদের প্রতি ভালোবাসা ও শিশুমনষ্ক স্বভাবকে সম্মান জানিয়ে তার জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহ আগে বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিন ছিল।

এদিনে অনেক বিদেশি নাগরিক তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। তখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল অনেক জটিল। এ সময় এক বিদেশি সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞাসা করলেন জন্মদিনে আপনার অনুভূতি কী? বঙ্গবন্ধু উত্তর দিয়েছিলেন ‘এই দুখিনি বাংলায় আমার জন্মদিনই বা-কী, মৃত্যু দিনই বা-কী, যখনি কারো ইচ্ছে হলো আমাদের প্রাণ নিয়ে যাচ্ছে। ’

দেওয়ান মুহাম্মহ হুমায়ূন কবীর বলেন, বঙ্গবন্ধু এ পরাধীন রাষ্ট্রকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বানিয়েছেন। বর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশে একটি উন্নয়নের রোল মডেল জাতি উপহার দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু বলতেন শিশুদের যথাযথ শিক্ষার ব্যত্যয় ঘটলে কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়বে। সেই কারণে তিনি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে মনোযোগী হয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন শিশুরা শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে সুন্দরভাবে গড়ে উঠুক। বঙ্গবন্ধু বাধ্যতামূলকভাবে প্রাথমিক শিক্ষা, বিনামূল্যে বই, পোশাক, বিনা বেতনে পড়াশোনার ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। তিনি শিশুদের এতই ভালোবাসতেন যে তার শেষ জন্মদিন পালন করেছিলেন শিশুদের নিয়ে।

এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুকরণ ও অনুসরণ করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সভায় রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান, আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান।

এছাড়া সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ১০৪ জন শিশুকে নিয়ে সংগীত এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে মহানগরীর বঙ্গবন্ধু চত্বরে ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার।