২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৫:৫৮:২৯ অপরাহ্ন


সেনাবাহিনীতে নারীদের যোগদান বাধ্যতামূলক করছে ডেনমার্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৩-২০২৪
সেনাবাহিনীতে নারীদের যোগদান বাধ্যতামূলক করছে ডেনমার্ক ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন


প্রথমবারের মতো নারীদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত বিধি কার্যকর করার পরিকল্পনা করছে ডেনমার্ক। দেশটি ন্যাটো লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আগামী পাঁচ বছরে তার প্রতিরক্ষা বাজেট প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বাড়াতে চায়। খবর বিবিসি।

বুধবার সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিধিতে সংস্কার আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বলেন, ‘সরকার পুরোদমে লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করতে চাইছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই বলে নিজেদের অস্ত্রে সজ্জিত করছি এমনটা নয়। বরং আমরা যুদ্ধ এড়াতে চাই বলে নিজেদের সজ্জিত করছি।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে ইউরোপে উত্তেজনা বেড়েছে।

ডেনমার্কে সেনাবাহিনীতে এখন শুধু পুরুষদের জন্য বাধ্যতামূলক নিয়োগের বিধি চালু আছে। নারীরা চাইলে যোগ দিতে পারেন। তবে নতুন বিধি কার্যকর করা হলে ২০২৬ সাল থেকে নারীদেরকেও বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে।

বিধি কার্যকর হলে সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা তৃতীয় ইউরোপীয় দেশ হবে ডেনমার্ক। বাকি দুটি দেশ হলো নরওয়ে ও সুইডেন। ডেনমার্কে এখন সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে চার মাস কাজ করতে হয়। এ সময়সীমা বাড়িয়ে ১১ মাস করার কথাও ভাবছে সরকার।

এদিকে, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ট্রোয়েলস লুন্ড পলসেন বলেছেন, ‘পূর্ণ লিঙ্গ সমতাসহ আরও শক্তিশালী নিয়োগ আমাদের প্রতিরক্ষা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে, জাতীয় সংহতি ও সশস্ত্র বাহিনীকে পরিচালনা করতে অবদান রাখবে।’

গত বছর ৪ হাজার ৭০০ জনকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ২৫ শতাংশ নারী। এই সংখ্যা বছরে ৫ হাজার করা হবে।

ডেনমার্কের সশস্ত্র বাহিনীতে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার সক্রিয় কর্মী রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৯ হাজার পেশাদার সৈন্য রয়েছে।

দেশটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। ন্যাটোর  নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশটির সামরিক ব্যয় বর্তমান জিডিপির ১.৪ শতাংশ থেকে ২ শতাংশে বৃদ্ধি করেছে।

গত বছর আইন প্রণেতারা সামরিক ব্যয় বাড়ানোর জন্য বসন্তকালীন সরকারি ছুটি বাতিল করার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

ডেনমার্ক ইউক্রেনের অন্যতম কট্টর সমর্থক। তারা কিয়েভকে উন্নত অস্ত্র ও তহবিল সরবরাহ করে। এমনকী তারা ইউক্রেনের পাইলটদের মার্কিন তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের প্রশিক্ষণও দেয়।

দুটি নর্ডিক দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেন সম্প্রতি ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর ইউরোপে তাদের প্রতিরক্ষা জোরদার করছে ন্যাটো।