ননদ শ্বেতা ও শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে কোন্দলের জন্য়ই ঐশ্বর্য বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বলিপাড়ার অন্দরে মাসখানেক ধরেই এমন গুঞ্জন অনেক দিনের। সম্পত্তির জেরে তাদের মধ্যে এই বিবাদ। বলিউডে কানাঘুষো শোনা যায়, মেয়েকে বিলাসবহুল বাংলো প্রতীক্ষা উপহার দেওয়াতেই নাকি বেজায় চটেছেন বউমা ঐশ্বর্য । জামনগরেই সম্ভবত সম্পর্কের বরফ গলল।
রবিবার বিকেলেই আম্বানিদের ডাকে জামনগরে সপরিবারে পৌঁছেছিলেন অমিতাভ-জয়া। গিয়েছিলেন অভিষেক-ঐশ্বর্য এবং তাঁদের মেয়ে আরাধ্যাও। তবে অনন্ত-রাধিকার প্রাকবিবাহ অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়ও শ্বশুর-শাশুড়ির থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন ঐশ্বর্য। একই বিমানে জামনগর পৌঁছলেও। ভান্তারা অবধি যেতে আলাদা গাড়ি নেন অভিষেক-ঐশ্বর্যরা। আরেক গাড়িতে মেয়ে শ্বেতার সঙ্গে ছিলেন জয়া-অমিতাভ। তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের অন্তিম লগ্নে একসঙ্গে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা যায় অভিষেক-ঐশ্বর্য ও আরাধ্যাকে। এদিকে মুকেশ আম্বানির পাশে পাশে দেখা গেল অমিতাভকে। পাপারাজ্জিদের দেখে জয়া বচ্চন হাসলেন। আর সেই বিরল মুহূর্ত নেটপাড়ায় ভাইরাল হতেই হতবাক নেটিজেনরা। তবে জামনগরে বচ্চনদের কাটানো মুহূর্তের মধ্যে নজর কাড়ল ফেরার সময়ে ঐশ্বর্য-শ্বেতার আলাপচারিতার ভিডিও।
সোমবার সাতসকালে মুম্বইয়ের প্রাইভেট বিবামবন্দর থেকে বেরনোর সময়ে ননদ-বউদির সে কী গল্প! রটে গিয়েছিল, দুজনের নাকি কথা তো দূরঅস্ত মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। তবে সেই রটনায় এবার ছেদ পড়ল। দাদু অমিতাভের হাত ধরে সানন্দে বেরলেন আরাধ্যা। এদিকে জামনগর থেকে ফিরেই আম্বানিদের
‘বোল বচ্চন’ ব্লগে সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ারও করলেন সিনিয়র বচ্চন। অমিতাভ লিখলেন, “জলসার দুয়ার বন্ধ ছিল। বিয়েতে গিয়েছিলাম, এখন ফিরলাম। এরকম অভিজ্ঞতা এর আগে কখনও হয়নি। শুধু বিয়ের অনুষ্ঠান নয়, ভান্তারা অ্যানিম্যাল রিলিফ ফেসিলিটিও দারুণ। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দায়! আর অনুষ্ঠানে যেভাবে মন্ত্র, শ্লোক পাঠও চলছিল, তাতে একটা দারুণ আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।