ফের পশ্চিমি দেশগুলোকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমিরা সেনা পাঠালে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, পশ্চিমিদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করার জন্য মস্কোর কাছে যথেষ্ট অস্ত্র রয়েছে।
এদিন পার্লামেন্ট এবং দেশের অভিজাতদের সম্বোধন করে পুতিন বলেছেন, “পশ্চিমিরা রাশিয়াকে দুর্বল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পশ্চিমিদের হস্তক্ষেপ কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেটা তারা এখনও ভাবতে পারছে না।” ইউক্রেনে ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর সেনা পাঠানোর বিষয়ে গত সোমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যা আমেরিকা, জার্মানি, ব্রিটেন এবং অন্য সদস্য দেশগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে। ম্যাক্রোঁর ওই প্রস্তাবকে ইঙ্গিত দিয়েই তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। পুতিন বলেছেন, “পশ্চিমি দেশগুলোকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে আমাদেরও অস্ত্র আছে, যা তাদের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে। তাদের এসব প্রস্তাব আমাদের পারমাণবিক যুদ্ধের দিকেই ঠেলে দেয়। যা সভ্যতার ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। এটা কি তাদের মাথায় ঢোকে না!”
রাশিয়াতে ১৫-১৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে পুতিনের জয় সুনিশ্চিত। এতে তিনি আরও ৬ বছরের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। এমন নির্বাচনের আগে ভাষণ দিতে এসে তিনি রাশিয়ার আধুনিক পারমাণবিক অস্ত্রাগার নিয়ে রীতিমতো হুমকি দিলেন পশ্চিমের দেশগুলোকে।
পুতিন এর আগেও ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর পুতিন এদিন পশ্চিমি রাজনীতিকদের ইতিহাসে ফিরে তাকানোর পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে নাৎসি জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার এবং ফ্রান্সের নেপোলিয়ন বোনাপার্টের ব্যর্থ রাশিয়া আক্রমণের ইতিহাসও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, “এখন রাশিয়া আক্রমণ করতে এলে হিটলার-নেপোলিয়নের চেয়েও খারাপ পরিণতি হবে পশ্চিমিদের।”