২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৮:০২:১১ অপরাহ্ন


গাজায় অব্যাহত হামলায় মৃত্যু ছাড়ালো ৩০ হাজার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৩-২০২৪
গাজায় অব্যাহত হামলায় মৃত্যু ছাড়ালো ৩০ হাজার গাজায় অব্যাহত হামলায় মৃত্যু ছাড়ালো ৩০ হাজার


পাঁচ মাস পূর্ণ হতে চলেছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের। হামাস জঙ্গিদের নাম মুছে ফেলতে গাজায় তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েলি দখলদার সেনারা। উত্তর থেকে দক্ষিণ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে  পুরো গাজা ভূখণ্ড। হামলা চালানো হচ্ছে প্যালেস্তিনীয়দের শেষ আশ্রয় রাফা শহরেও। এরই প্রেক্ষিতে, এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলের  হামলায়‘প্রায় ২৫ হাজারের উপর মহিলা ও শিশু প্রাণ হারিয়েছে গাজায়। এমনই রিপোর্ট আমেরিকার। 

যতদিন যাচ্ছে গাজায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এই সংখ্যা ৩০ হাজার পেরিয়ে গেছে। যার মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। বৃহস্পতিবার এনিয়েই একটি রিপোর্ট দিয়েছে পেন্টাগন। জানা গেছে, গাজায় এখন পর্যন্ত কতজন মহিলা ও শিশু প্রাণ হারিয়েছে তা নিয়ে হাউস কমিটি অন আর্মড সার্ভিসেসের একটি শুনানিটিতে আইন প্রণেতারা প্রশ্ন করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনকে। যার উত্তরে তিনি বলেন, “সংখ্যাটা ২৫ হাজারেও বেশি।”

উল্লেখ্য, গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যু নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে একাধিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেশ হয়েছে। ইজরায়েলের নিন্দায় সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। এখন ইজরায়েলি সেনার অভিযানের ফলে গাজায় তীব্র হয়েছে খাদ্য সংকট। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। চারদিকে শুধুই হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি চাইছে আমেরিকাও। কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রসংঘে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকেও প্রথমবার সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সেই হামলায় মৃত্যু হয় প্রায় ১২০০ ইজরায়েলির। হামাস সেনারা পণবন্দি বানিয়ে নিয়ে যায় আড়াইশোর উপর মানুষকে। এরপরই গাজায় যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই থেকেই চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। আর যুদ্ধের প্রথম দিন থেকে ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের পাশে রয়েছে আমেরিকা। কিন্তু এবার আমেরিকার অন্দরের গাজায় মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। সামনেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন আবহে সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে চায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। তাই এবার ইজরায়েলের পাশ থেকে সরে আসতে চাইছে ওয়াশিংটন।