এবছরের নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প বনাম বাইডেন ‘ফাইনাল ম্যাচ’ হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে জোরালো। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমেই বদলাচ্ছে। বাইডেনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠছে তাঁর বয়স। সাম্প্রতিক এক ভোটাভুটির ছবি একেবারেই অন্য কথা বলছে। যা থেকে পরিষ্কার, বাইডেন নয়, অন্য় কাউকে চাইছেন ডেমোক্র্যাটরা। তিনি মিশেল ওবামা, আমেরিকার প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি। বাইডেনের দলের অধিকাংশই তাঁকে চাইছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ৪৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বাইডেনের বদলি প্রার্থী বেছে নেওয়ায় সায় দিয়েছেন। সায় দেননি ৩৮ শতাংশ। ৮১ বছরের বর্ষীয়ান নেতার পরিবর্তে মিশেল ওবামাকে চাইছেন ২০ শতাংশ। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ১৫ শতাংশ ভোট। হিলারি ক্লিন্টন পেয়েছেন ১২ শতাংশ ভোট।
উল্লেখ্য, রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্পই। কিন্তু তাঁর বয়সও ৭৭। তবে কেন বাইডেনের বয়স নিয়ে এত চর্চা? আসলে ইদানীং বার বার স্মৃতিভ্রংশের লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আচরণে। ইউক্রেনের নাগরিকদের ইরানি বলে অভিহিত করা কিংবা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ‘ভ্লাদিমির’ বলা অথবা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের নাম গুলিয়ে ফেলার মতো ঘটনা তাঁকে বার বার ঘটাতে দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই অশীতিপর বাইডেনের শারীরিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আশঙ্কা, স্মৃতিভ্রংশের অসুখ ক্রমেই জাঁকিয়ে বসছে তাঁর শরীরে। সম্ভবত, সেই কারণেই খোদ ডেমোক্র্যাটদের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছেন অশীতিপর নেতা।