যুক্তরাজ্যের রচডেল শহরে গ্রুমিং গ্যাংয়ের কবলে পড়ে ১০০ বারের বেশি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। সম্প্রতি বিবিসি নিউজনাইটকে দেওয়া এক সাক্ষৎকারে ওই তরুণী জানান, ১২ বছর বয়স থেকে ভয়ঙ্কর গ্যাং ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। রুবি (ছদ্ম নাম) নামের ওই তরুণীর এমন অভিযোগের পর বিবিসি প্রতিক্রিয়ার জন্য গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশের (জিএমপি) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
রচডেল বরো কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা গভীরভাবে দুঃখিত যে, শিশুদের নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সবাই ব্যর্থ হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু বয়স্ক লোক রুবিকে এবং তার বন্ধুদের খাবার ও পানীয়ের জন্য টেকওয়ে এবং একটি ফ্ল্যাটে আমন্ত্রণ জানানোর পর এ নির্যাতন শুরু হয়েছিল। তারা রুবি ও তার সঙ্গীদের এক লিটার ভদকা দিয়েছিল। এরপর তারা মাতাল হয়ে পড়েছিল। তখন তাদের জন্য প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন লোক অপেক্ষা করছিল। তারপর একটানা রুবিকে ধর্ষণ করা হয়। তারা পালাক্রমে রুবিকে সারারাত ধর্ষণ করে।
ওই রাতের পর গ্যাংটি রুবিকে ভয়ঙ্কর হুমকি দেয় যাতে রুবির সঙ্গে এ ঘটনা পর্যায়ক্রমে তারা চালিয়ে যেতে পারে। এরপর থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে এমনটাই ঘটে রুবির সঙ্গে। এমন কী ওই গ্যাংটি চার বছর রুবিকে বিভিন্ন শহরে নিয়ে শতাধিকবারেরও বেশি ধর্ষণ করে।
২০০৮ সালে রুবি একটি যৌন স্বাস্থ্য ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি করেছিলেন। ভয়ে পুলিশকে অবগত না করলেও পরে ২০০৯ এর শুরুতে পুলিশ তার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়।
পুলিশ তাকে না বলে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তার গর্ভপাত করা ভ্রূণ নিয়ে যায়।
তদন্তের দুই বছর পর তাকে নির্যাতন করা পুরুষদের একজনকে যৌন নির্যাতন ও পাচারের দায়ে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এর মাত্র চার বছর পর রুবি তাকে স্থানীয় একটি দোকানে দেখেন। তিনি বলেছেন, সাজাপ্রাপ্ত ওই ধর্ষক জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে এমন তথ্য তাকে দেওয়া হয়নি।
রুবির জীবনে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক এই ঘটনা বহু বছর পর মিডিয়াতে প্রকাশ হলো।