নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার এর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন যেন এক স্বপ্নময় রাজপুরী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মুহা. রুহুল আমিন এর হাতে গড়া দৃষ্টিনন্দিত মডেল হাসপাতালে আবারও যোগদান করেছেন বিসিএস ৪২ তম ব্যাচের ৬ জন ডাক্তার সহ বেশ কয়েকজন সেবক সেবিকা যারা পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে সেবার মান উন্নত করতে নিজেদের মানিয়ে নেবে এমন টাই আশা বাদী সাপাহারের সর্বত্র মহল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উন্নয়নের ছোঁয়া ও তিন বছরের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন উন্নয়নের মাঝে স্থান পেয়েছে হাসপাতালের চারপাশে মিনি পার্কের। যা সাধারণ রোগী সহ পর্যটকদেরও মন কাড়ে! প্রতিদিন দর্শনার্থীরা ভিড় জমায় হাসপাতালের মিনি পার্কে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে পরিষ্কার তকতকে রাস্তা। রাস্তার দু’পাশে নানা ধরনের ফুল গাছ। হরেক রকম বাহারী ফুলের গাছ। লম্বা হয়ে নেতিয়ে পড়েছে বাহারী ফুলের ডাল! এ যেন মুগ্ধতার এক অপরূপ দৃশ্য যা সত্যিই যেন মন কাড়ার মতো! আরেকটু সামনে এগিয়ে গেলে দৃষ্টি পড়ে বনজ ও ঔষধি গাছের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাগান। কোয়ার্টারের দেয়ালগুলোতে নানারকম চিত্রকর্মও যেন নজর কাড়ার মতো! একদিকে টবে সাজানো নানারকম পাতা বাহারের গাছ।
এ ছাড়াও উন্নত মানের স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে শিশু কর্নার।
হাসপাতালের ভেতরে রোগী ও পর্যটকদের গাড়ি রাখার সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ একটি গ্যারেজ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মুহা. রুহুল আমিন হাসপাতালে আসার পর থেকে নানান রকম জিনিসপত্রাদির ও ঔষধের অভাব পুরণ করেছেন । অক্সিজেন ব্যবস্থা ও নরমাল ডেলিভারির আধুনিক পদ্ধতি। কিছু জায়গা অব্যবহৃত হয়ে পড়ে ছিল সেসব জায়গাগুলো লোক লাগিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ফুলের গাছ লাগানো সহ একটা সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনায় আজ পুরো হাসপাতাল দৃষ্টিনন্দিত। এ যেন এক রাজপুরী।