২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০২:২৯:৩৩ পূর্বাহ্ন


পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনের জন্য ৯ নির্দেশনা
Online Desk
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-১১-২০২৩
পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনের জন্য ৯ নির্দেশনা File Photo


বাড়ি ফ্যাক্টরি বা প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেলের ছাড়পত্র সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছ থেকে নিতে হবে। প্রতিবারেই বিষয়টি পাম্প কিংবা সিএনজি স্টেশনে রাখা রেজিস্টারে অবশ্যই লিপিবদ্ধ করতে হবে। নাশকতার সহজ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কেউ যাতে পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনকে টার্গেট করতে না পারে একই সঙ্গে পাম্প থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহের বিষয়ে কঠোর হতে নয়টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিশেষ নির্দেশনাটি এরই মধ্যে সব ক্রাইম ও ট্রাফিক ডিভিশনে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে সহকারী কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তা তদারকি নিশ্চিত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে অবরোধ ও হরতালের নামে একটি বিশেষ মহল গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রল বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নিরীহ নাগরিকদের হতাহত করাসহ নাশকতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে। এ জন্য পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা রোধে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ওসিরা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থিত পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। একই সঙ্গে প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকার পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনের মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থাসমূহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিজ নিজ পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রতিটি পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকায় রাতের ছবি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন করা, সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, পরিদর্শক (তদন্ত/অপারেশনস), ওসি, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখা, পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে ওই সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করা। রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে কোনো ধরনের যানবাহন পেট্রল পাম্পে ঢুকতে না দেওয়া, লুজ বা খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রাখতে হবে। তবে বাড়ি ফ্যাক্টরি বা প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রাখা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

এ ছাড়া ওই নির্দেশনায় পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮-এর লাইসেন্সের শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করার পাশাপাশি যে কোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।