রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার ভারশোঁ ইউনিয়নের (ইউপি) চৌবাড়িয়া ব্রীজ সংলগ্ন বাদশার মোড় থেকে কুচড়া চান্তা ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও সিডিউল উপেক্ষা করে নিম্নমাণের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এতে রাস্তার স্থায়ীত্ব নিয়ে শংসয় দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসির মাঝে বিরাজ করছে প্রচন্ড ক্ষোভ। সরেজমিন তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন গ্রামবাসি। এদিকে রাস্তা নির্মাণের পুর্বেই রাস্তার যাবতীয় তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড সাঁটানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়নি। এলাকার মানুষের কাছে তথ্য গোপণ করে রাস্তার নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। সরেজমিন তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা এলজিইডি'র তত্ত্বাবধানে (আরসিআইপি) প্রকল্পের প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৭,৬২,৯৮,৭৩৯,৮৪৯ টাকা। কিন্ত্ত আইটি-ভ্যাটসহ ২৩% লেসে কার্যাদেশ পায় নওগাঁর ঠিকাদার লাল্টু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,গত ১১ শনিবার সকাল থেকে রাস্তার কার্পেটিং কাজ করা হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিয়মবহির্ভূতভাবে
কার্পেটিং এর ওপর বালু দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও নওগাঁ থেকে কার্পেটিং এর গরম পাথর নিয়ে আশায় পাথরের টেম্পারেচারের মান ঠিক থাকছে না।
এসময় সেখানে উপজেলা এলজিইডির কোনো কর্মকর্তার দেখা পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, রাস্তার একটু দুর্বল ও নিম্নমাণের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, ইউপিবাসির দীর্ঘদিন স্বপ্ন পুরুন হয়েছে সত্যি তবে রাস্তার কাজের মান নিয়ে জনগণের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ লক্ষ করা গেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান মিয়া বলেন, কাজে অনিয়মের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, কার্পেটিং এর বালু ব্যবহার যাবে না। তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হবে। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় ঠিকাদার লাল্টু সাহেবের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।