ভবিষ্যতে যেন আর কেউ দখল করতে না পারে সেভাবেই পর্যায়ক্রমে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অংশে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল বুধবার সায়েদাবাদ হতে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অংশে গৃহিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের জায়গাগুলো বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় পড়ে আছে। ১১ কি.মি. দৈর্ঘ্যরে এই ফ্লাইওভারের নিচের পুরো অংশকে আমরা ৮ ভাগে ভাগ করেছি। এই অংশগুলোর সৌন্দর্যবর্ধনে আমরা পরামর্শক নিয়োগ করেছি। কোন অংশে কি চাহিদা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কি হতে পারে, কোথায় পথচারী পারাপার দরকার, কিভাবে ল্যান্ডস্কেপিং করা হলে সৌন্দর্যবর্ধন হবে, সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে এবং ভবিষ্যতে যাতে আবার এখানে কেউ দখল করতে না পারে, সেভাবেই আমরা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অংশে পর্যায়ক্রমে সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব।
ইতোমধ্যে ৪ ভাগের পরিকল্পনা শেষ হয়েছে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আটটি ভাগে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে আমরা প্রত্যেকটির আলাদাভাবে নকশা করছি। ইতোমধ্যে চানখারপুল হতে চারটি অংশের নকশা প্রায় সম্পন্ন। আমরা দরপত্রে যাবো। আজকে আমরা বাকী ৪টি অংশ পরিদর্শনে এসেছি। এটা শেষ করে আমরা এই অংশগুলোরও নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ করব। এভাবে আমরা পর্যায়ক্রমে একেকটি অংশের সৌন্দর্যবর্ধন সম্পন্ন ও কার্যকর করব।
জনগণের চাহিদা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করেই সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনই তা রক্ষণাবেক্ষণ করবে বলে এ সময় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস জানান। এছাড়াও ল্যান্ডস্কেপিং এ মৌসুমী ফুল গাছের প্রাধান্য থাকবে বলেও মেয়র এ সময় সাংবাদিকদের অবগত করেন।
এসময় করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবুল কালাম, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের মাসুদ মোল্লা, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবু সাঈদ এবং সংরক্ষিত আসনের নাজমা বেগম ও ফারহানা ইয়াছমিন কুয়াশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।