২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৩:২৫:৫৩ পূর্বাহ্ন


গাজায় ১৩০টি টানেল ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১১-২০২৩
গাজায় ১৩০টি টানেল ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের ছবি: সংগৃহীত


ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে শতাধিক টানেল ধ্বংসের দাবি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, গাজায় অন্তত ১৩০টি টানেল বা সুড়ঙ্গ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

এছাড়া ইসরায়েলের স্থল অভিযান জোরদারের পর একদিনেই গাজা ছেড়েছেন সেখানকার ৫০ হাজার বাসিন্দা।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ‘যুদ্ধ প্রকৌশলীরা গাজায় লড়ছে এবং তারা শত্রুদের অস্ত্র খুঁজে বের করে সেগুলো সামনে আনছে এবং তাদের টানেলগুলো উড়িয়ে দিচ্ছে।’

আরেকটি পোস্টে বলা হয়, গাজার উত্তর-পূর্ব কোণে বেইত হানুন এলাকায় একটি স্কুলের কাছে সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে সেনারা।

এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল স্থল অভিযান জোরদারের পরে ওই অঞ্চল ছেড়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুধু বুধবারই শহরটি ছেড়েছে প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তর-দক্ষিণের রাস্তা দিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিরাপদে বের হওয়ার সুযোগ করে দিলে বাসিন্দারা গাজার উত্তরাঞ্চল ছাড়তে শুরু করে।

গতকাল ইসরায়েল বলেছিল, তারা গাজা শহর ঘিরে ফেলেছে এবং গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। আর এখন তারা বলছে, হামাস গাজার উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

হামাস পরিচালিত গাজার কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ১০ হাজার ৫৬৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।

জাতিসংঘ এখনও শক্ত ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। হামাস এবং ইসরায়েল-দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় যে হারে বেসামরিক নাগরিক মারা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে স্পষ্টভাবেই কিছু ভুল রয়েছে। একই সাথে হামাস মানুষকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গাজায় আটক ২৩৯ জন বন্দির পরিবার তাদেরকে মুক্তি দেওয়ার দাবি অব্যাহত রেখেছে। এখন মোট ১২জন বন্দির মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে তিন দিনের জন্য মানবিক বিরতি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এই বন্দিদের মধ্যে অর্ধেকই আমেরিকান। তবে বিরতির সময়সীমা এবং গাজার উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বিতর্ক চলছে।

কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এটিকে ‘মিথ্যা গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। একই সাথে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত’ কোনও অস্ত্রবিরতি হবে না।

বিবিসির আন্তর্জাতিক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে গাজায় প্রবেশ করেছেন। তিনি সেখানে কোনও ভবন অক্ষত দেখতে পাননি। একই সাথে একটি পারিবারিক আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট অস্ত্র তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে দাবি করে, সেটিও তাকে দেখায় ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে গাজায় বাসিন্দাদের মানবিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সেখানে মানুষ পর্যাপ্ত খাবার ও পানির জন্য সংগ্রাম করছেন। বিবিসি বাংলা