বাংলাদেশে বিরোধীদের বিক্ষোভ দমনে কর্তৃপক্ষের নিষ্ঠুরতার পথ অবলম্বন এবং অতিরিক্ত বল প্রয়োগ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আটটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাগুলো বাংলাদেশের ঘটনাবলি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পদত্যাগ এবং একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে। কিন্তু নির্ধারিত তারিখের আগেই ১২০০ জনেরও বেশি বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে তাদের বাড়ি-ঘরসহ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক বিরোধীদের উপর এই তীব্র দমন-পীড়ন অগ্রহণযোগ্য এবং এ কারণে বাংলাদেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং মৌলিক স্বাধীনতার অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। আমরা অবিলম্বে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও অতিরিক্ত শক্তির ব্যবহার বন্ধ করতে এবং মত প্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাকে সম্মান ও সুরক্ষিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলে, আমরা বাংলাদেশের জনগণের ন্যায়সঙ্গত, গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সহিংসতা, দমন-পীড়ন এবং হুমকির চলমান চক্রের অবসানের পাশাপাশি স্বেচ্ছাচারীভাবে গ্রেপ্তার হওয়া সবার অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে- অ্যান্টি–ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, ইন্টারন্যাশনাল রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল ফর টর্চার ভিকটিমস, ওমেগা রিসার্চ ফাউন্ডেশন, রেডরেস, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার।