২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৭:৪০:৫৫ পূর্বাহ্ন


ডিসেম্বরেই চিলাহাটিতে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সেবা: রেলমন্ত্রী
Online Desk
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১১-২০২৩
ডিসেম্বরেই চিলাহাটিতে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সেবা: রেলমন্ত্রী


ডিসেম্বরের মধ্যে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি স্টেশনে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস সেবা চালু করার কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।


তিনি বলেছেন, “এ পথ দিয়ে ট্রেনে করে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন (এনজেপি) ও জলপাইগুড়ি যাওয়া যাবে। ভারতে যাতায়াতে চিলাহাটি থেকে ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চার থেকে পাঁচটি বগি বরাদ্দ থাকবে। যেসব বগিতে এ অঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করবেন।”


শনিবার দুপুরে চিলাহাটিতে নবনির্মিত ‘চিলাহাটি আইকনিক রেল স্টেশন’ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


১০ বছর আগে চিলাহাটি স্থলবন্দর ঘোষণা করা হলেও এর কর্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস সেবা কার্যক্রম শুরু হবে। চিলাহাটি থেকে শুধু ভারত নয়, নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত মালবাহী-যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে।


১১ নভেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হবে জানিয়ে নূরুল ইসলাম আরও বলেন, “আগামী দিনে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলবে। খুলনার মোংলা বন্দর থেকে রেলপথ দিয়ে সরাসরি মালামাল আসবে এই স্টেশনে।”


আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে উন্নয়ন ঘটিয়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “আজকে দেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। রেল থেকে শুরু করে সর্বত্রই উন্নয়ন হয়েছে। আজকে চিলাহাটি থেকে সকাল-বিকাল ঢাকা যাচ্ছে ট্রেন।


“এ ছাড়া খুলনা ও রাজশাহীতেও ট্রেন যাচ্ছে। মিতালী এক্সপ্রেস এনজিপি (ভারত) থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলছে। এ এলাকার মানুষের চাহিদা ছিল মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনে ভারত যাতায়াতের। অবকাঠামোর কারণে এতোদিন তা হয়ে উঠেনি। এখন স্টেশন ভবন নির্মাণের ফলে সেটি বাস্তবায়নের পথে।”


ডিসেম্বরেই চিলাহাটিতে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সেবা: রেলমন্ত্রী


উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, জেলা পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক ও চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আব্দুর রহিম বক্তব্য দেন।


ব্রিটিশ আমলে চিলাহাটি হয়ে ভারতের হলদিবাড়ী পথে শুরু হওয়া রেল সংযোগ ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর এই রেলপথ চালুর উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার।


এরই ধারাবাহিকতায় ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে চিলাহাটি থেকে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত ছয় দশমিক ৭২ কিলোমিটার রেল লাইনসহ অন্যান্য স্থাপনার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কাজ শেষে ৫৫ বছর পর ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর এ পথে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়।


এরপর ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ নামে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে কোভিডের পর ২০২১ সালের ১ জুন থেকে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত চলাচল করছে যাত্রীবাহী এ ট্রেনটি।