নেপালে ৬.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভারতের সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য উল্লেখ করে এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত (৪ নভেম্বর) সাড়ে ১১টার পর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে জাজারকোট এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
নেপালের জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ধাদিং জেলায়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্টের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পে দিল্লি এবং আশপাশের শহরগুলোতে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লির বাসিন্দারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝুলন্ত ঝাড়বাতি এবং পাখার নড়ে ওঠার ভিডিও পোস্ট করে। এতে বোঝা যায় ভূমিকম্প কতটা শক্তিশালী ছিল।
আরও পড়ুন: নেপালে ভূমিকম্প, কাঁপল বাংলাদেশ ও ভারত
ভূমিকম্পের আঘাতে নেপালের রুকুম জেলায় বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। রুুকুমের পশ্চিমে ৩৬ ও জাজারকোটে ৩৪ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
রুকুমের চীফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার হরি প্রসাদ পান্ত এএনআইকে বলেন, ভোর ৫টা পর্যন্ত রুকুমে ৩৬ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাজারকোটের জেলার সরকারি কর্মকর্তা সুরেশ কুমার সুনার জানিয়েছেন, রাতেই বহু মানুষকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে তৎপরতার সঙ্গে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। রাতেই জরুরি ভিত্তিতে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
তিব্বতীয় ও ভারতীয় টেকটনিক প্লেটের ভাঁজে নেপালের অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল পোখারা ও কাঠমান্ডুর মধ্যে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ৮ হাজার ৯৬৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। আহত হয়েছিলেন ২২ হাজার মানুষ।