গাজায় অব্যাহত হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করেছে বাহরাইন। পাশাপাশি, উভয় পক্ষের রাষ্ট্রদূতদের যার যার দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
‘কিছু সময় আগে’ রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাহরাইনের ন্যাশনাল কমিউনিকেশন সেন্টার (এনসিসি)। আর বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিতের বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ঘোষণায়।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল বাহরাইন। সেসময় কথিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের অধীনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনকারী দেশগুলোর মধ্যে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কোও।
তবে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বাহরাইনের পার্লামেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বাহরাইন ত্যাগ করেছেন এবং ইসরায়েল থেকে বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরত আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিনিধি পরিষদ।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কও স্থগিত করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বার্থ এবং ভ্রাতৃপ্রতীম ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে।
পার্লামেন্টের প্রথম ডেপুটি স্পিকার আবদুলনবি সালমান সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে এএফপি’কে বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতের বিষয়ে নীরব থাকা যায় না।
এনসিসি বলেছে, এই মুহূর্তে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেসামরিক লোকদের জীবন রক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তবে বাহরাইনের পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত বা কূটনীতিক ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো জানানো হয়নি বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে, বাহরাইন সরকার এবং ইসরায়েল সরকারের কাছ থেকে দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে কোনো ঘোষণা বা সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি