২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৬:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন


২০২৪ সালেই আয়োজন করা হচ্ছে প্রথম সেক্স চ্যাম্পিয়নশিপ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-১১-২০২৩
২০২৪ সালেই আয়োজন করা হচ্ছে প্রথম সেক্স চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিকী ছবি


আপনিও নিশ্চয়ই সারা জীবনে কোনও না কোনও খেলায় অংশ নিয়েছেন। আপনিও নিশ্চয়ই নানা রকম খেলাতে আগ্রহ রাখেন। কিন্তু এই প্রকাশ্যে খেলা খেলতে সবাই হয়ত কুন্ঠাবোধ করবে। এই নতুন খেলায় জড়িয়ে যৌনতা। এই নতুন গেম আনুষ্ঠানিকভাবে খেলার তকমা পেয়েছে। তবে নিশ্চিন্ত থাকুন, ভারতে নয়, সুইডেনে। সুইডেন আগামী বছরের ৮ জুন সেক্স চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করতে চলেছে।

প্রতিযোগিতার নাম সুইডিশ সেক্স ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রতিযোগিতাটি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে। শুধুমাত্র ইউরোপীয় দেশগুলো অংশগ্রহণ করতে পারবে। ইউরোপীয় দেশগুলির যে কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।

প্রতিযোগিতা হবে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যক্তি দিনের বিভিন্ন ম্যাচের জন্য ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা সময় পাবেন। সেক্স চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়মের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে রয়েছে ১৪টি শর্ত। লিঙ্গ নির্বিশেষে সবাই প্রতিযোগিতা করতে পারে। প্রতিযোগিতায় পাঁচজন বিচারক থাকবেন। পাবলিক ভোটিংও গুরুত্বপূর্ণ। সুইডিশ সেক্স ফেডারেশন বিশ্বাস করে যে যৌনতাকে একটি খেলায় পরিণত করা গুরুত্বপূর্ণ।

তাদের দাবি যৌনতা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বাড়ায়। এই খেলায় উপভোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং প্রতিপক্ষের উপভোগ সরাসরি স্কোরকে প্রভাবিত করবে বলে জানানো হয়েছে। সুইডিশ সেক্স ফেডারেশনের মতে, খেলা হিসেবে যৌনতার জন্য প্রয়োজন সৃজনশীলতা, আবেগ, কল্পনা, শারীরিক সুস্থতা, সহনশীলতা এবং কর্মক্ষমতা। প্রতিযোগিতার সাফল্যের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ হবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ী দর্শকদের ৭০ শতাংশ ভোট এবং জুরিদের ৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন। প্রতিযোগিতাটি সুইডেনের গোথেনবার্গে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য এখন পর্যন্ত ২০ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন।

এখানে উল্লেখ্য যে সেক্স চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিযোগীরা ১৬টি বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, যার মধ্যে রয়েছে সেক্স পার্টি সিডেকশন, ওরাল সেক্স, পেনিট্রেশন, ম্যাসাজ, চেহারা, সবচেয়ে সক্রিয় দম্পতি ইত্যাদি। সুইডিশ ফেডারেশন অফ সেক্সের প্রেসিডেন্ট ড্রাগান ব্রাটিকের মতে, যৌনতাকে খেলা হিসেবে স্বীকৃতি দিলে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।