২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৯:৩৩:২০ পূর্বাহ্ন


দুই দিনে ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-১১-২০২৩
দুই দিনে ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি সংগৃহিত ছবি


সরকারের ঘোষণার পর গত দুই দিনে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। গতকাল পর্যন্ত ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে আমদানির এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সবজি জাতীয় পণ্যটির দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের দ্রুত আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আমদানির ঘোষণার প্রথম দিন মঙ্গলবার ২৮টি আবেদনের বিপরীতে ১৯ হাজার ৪০০ টন আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রতি কেজি আলুর দাম বেড়ে ৭০ টাকায় উন্নীত হওয়ার পর গত সোমবার আলু আমদানির অনুমতি দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে আবেদন আহ্বান করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই ঘোষণার পরপরই পণ্যটি আমদানির জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদন জমা দেয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, হিমাগার মালিকদের তথ্য অনুযায়ী এখনো গুদামে ১৫ লাখ মেট্রিক টন আলু আছে। এছাড়া গুদামের বাইরে বিভিন্ন দোকানে, কৃষকের হাতে রয়েছে আরও প্রায় ১০ লাখ টন; ফলে সবমিলিয়ে ২৫ লাখ টন আলু আছে দেশে, যা দিয়ে অন্তত জানুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা। এর আগে নভেম্বরের দিকে আগাম আলু কিছু উঠতে পারে। ফলে সংকট হওয়ার কথা নয়। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকটের দোহাই দিয়ে দাম বাড়ানোর কারণে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া সরকারের উপায় ছিল না। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর তিন কৃষিপণ্য আলু, পিঁয়াজ এবং ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাতে হিমাগার পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ২৫ থেকে ২৬ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে সরকারের সেই নির্দেশনা গত এক মাসেও কার্যকর হয়নি। উপরন্তু ৫০ টাকা কেজির আলু গত এক সপ্তাহে বেড়ে ৭০ টাকায় উন্নীত হয়। পরে গত মঙ্গলবার হিমাগার থেকে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে দেশের জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তার আগে দেওয়া হয় আমদানির অনুমতি।