২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৯:২৭:৩৮ পূর্বাহ্ন


জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান সরকারের
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-১১-২০২৩
জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান সরকারের File Photo


ঢাকায় প্রধান বিচারপতির বাসভবন, অন্য বিচারকদের বাসস্থান ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা সম্পর্কে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে বিবৃতি সংশোধন করা হবে বলে আশা করে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিরোধী দল বিএনপির কর্মীরা ওই হামলা করেছে। আর হাইকমিশনারের দপ্তর দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিএনপির অপপ্রচারের ফাঁদে পড়েছে। বিবৃতি যথাযথ না হলে এটি জনগণের সমর্থন, গ্রহণযোগ্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।

ওএইচসিএইচআর গত মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিরোধী দলের প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন, বিচারকদের বাসস্থান ও সাংবাদিকদের ওপর হওয়া হামলায় বিক্ষোভকারী ও মোটরসাইকেলে আসা মুখোশধারীদের সরকারি দলের সমর্থক মনে হয়েছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের একদফা অসাংবিধানিক দাবির নামে বিএনপির সহিংসতা ও জনবিচ্ছিন্নতার অভূতপূর্ব প্রদর্শনে সরকার গভীরভাবে মর্মাহত। বিএনপির অনুরোধ অনুসারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কিছু নির্দিষ্ট শর্তে ২৮ অক্টোবর তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। তবে, বিএনপি কর্মীরা রাস্তায় সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, ব্যক্তি ও সম্পত্তির ওপর অন্যান্য ধরনের হামলার আশ্রয় নেয়। এ ধরনের সহিংসতার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, নিরপরাধ নাগরিক, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সম্পত্তি। আরও বলা হয়, পুলিশের একজন সদস্যকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কয়েক ডজন আইন প্রয়োগকারী সদস্যকে আক্রমণ ও আহত করা হয়েছে। বাস, ফায়ার সার্ভিসের ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়, প্রধান বিচারপতি ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অন্য বিচারকদের বাসভবন ভাঙচুর করা হয়, পুলিশ হাসপাতাল চত্বর ও অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি থানা ভাঙচুর করা হয়, সাংবাদিক ও ফটো-সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এমনকি বিএনপির এমন ক্রমাগত নৃশংসতার মুখেও বাংলাদেশ সরকার এবং এর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শন করেছে। তারা জনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সর্বনিম্ন ও সর্বোত্তম শক্তি প্রয়োগ করেছে।