বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করলেও, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর মূল টার্গেট হয়ে উঠেছে এখন বিভিন্ন শরণার্থী শিবির ও হাসপাতাল। এবার গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। পরপর দুই দফার হামলায় সেখানে বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস থেকে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে দুই দফায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে এক হাজারের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের হামলায় ১৯৫ জন নিহত এবং ৭৭৭ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১২০ জন।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ও বুধবার (১ নভেম্বর) জাবালিয়ায় ইসরাইলি হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন, ‘অসমানুপাতিক এই হামলা গণ্য হতে পারে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে।’
তবে হামাস কমান্ডারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
গাজা শহরের উত্তরে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরটি ওই ভূখণ্ডে থাকা আটটি শরণার্থী ক্যাম্পের মধ্যে সবচেয়ে বড়। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই মাসেও সেখানে এক লাখ ১৬ হাজারের কিছু বেশি নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীর বসবাস ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি রয়েছে নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ।