প্রতিহিংসার চূড়ান্ত! এবার গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হানা ইজরায়েলের। এটাই ছিল গাজার সবচেয়ে বড় রিফিউজি ক্যাম্প। আর সেটাই উড়িয়ে দিল ইজরায়েল।
ওই শরনার্থী শিবিরে এই বিস্ফোরণের জেরে প্রায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
জখমের সংখ্যা বেশ কয়েকশো। প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে জানায়, ইজরায়েলের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ফেটেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে। আর এরপরেই যদিও সেই হামলার দায়ও স্বীকার করে নেয় ইজরায়েল।
ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই হামলায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম বিয়ারি-সহ বেশ কয়েকজন হামাস নেতা নিহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের একটি অংশও। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই প্যালেস্তাইনের সাধারণ নাগরিকদের ওই শরণার্থী শিবির থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা।
উল্লেখ্য, সোমবারই একটি সাংবাদিক বৈঠকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, কোনওভাবেই হামাস সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে কোনও যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয় ইজরায়েল। তাঁর কথায়, এখন যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হওয়া মানে সন্ত্রাসবাদের কাছে হেরে যাওয়া।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৮ হাজার ৫২৫ জন। নিহতদের মধ্যে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা অন্তত ৩ হাজার ৫৪২। উল্লেখ্য, ক্রমশ গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। বিশেষ করে হামলা চালানো হচ্ছে হামাসের সুড়ঙ্গগুলিতে।