২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:১৬:৫৭ পূর্বাহ্ন


পরীক্ষামূলক ট্রেন আগরতলায়
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-১০-২০২৩
পরীক্ষামূলক ট্রেন আগরতলায় সংগৃহিত ছবি


আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের নির্মাণকাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। প্ল্যাটফরমের ফিনিশিং কাজও শেষ। শুধু বাকি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের। এই রেলপথ চালু হলে দুই দেশের অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচন হবে এমনটা ধারণা স্থানীয় মানুষের।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশের রেলের ছয়জন স্টাফ নিয়ে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর নবনির্মিত রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাঁচটি বগি করে একটি ট্রায়াল ট্রেন ভারতের আগরতলা নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক (ট্রায়াল ট্রেন হিসেবে) বাংলাদেশ গঙ্গাসাগর হতে ছেড়ে যায়। পরীক্ষামূলক ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে যান মো. মজিবুর রহমান (এলএম) ও মো. রোকন মিয়া (এএলএম)। ট্রেনটিতে পরিচালক (গার্ড) দায়িত্বে ছিলেন মো. আবদুর রহিম ও রবিন মজুমদার। এ ছাড়া রেলওয়ের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, বাংলাদেশ রেলওয়ের কমার্শিয়াল পরিদর্শক মহিউদ্দিন পাটোয়ারী ট্রেনে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন। এর আগে চলতি বছরের গত ১৪ সেপ্টেম্বরের প্রথম ট্রায়াল রান বা ট্রেন চলে বহুল কাক্সিক্ষত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথে। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফল হওয়ায় ১ নভেম্বর বুধবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ট্রেন নিয়ে ভারতের আগরতলায় যাওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে ট্রেন চালক মো. মজিবুর রহমান বলেন, একজন চালক হিসেবে প্রথমবারের মতো আমাদের ছয়জন স্টাফ নিয়ে আগরতলায় প্রবেশ করছি। আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া জানান, এখন উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত আছে রেলপথটি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এই মেঘা প্রকল্পটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা বলেন, প্রকল্প, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। উদ্বোধনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছে রেলপথ। এই রেলপথে ৭৯ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে।

আখাউড়া গঙ্গাসাগর রেল স্টেশনের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক বলেন, আজকে আমার প্রথম কর্ম দিবস। প্রথম কর্মদিবস হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, আমাকে এখানে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। আজকে প্রথম ছয়জন স্টাফের ইমিগ্রেশন কাজ করেছি। তারাই প্রথম ইমিগ্রেশন করেছে এই নতুন গঙ্গাসাগর ইমিগ্রেশনে।

 

এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক (পূর্বাঞ্চল) মো. আবু জাফর, ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জাবের হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমাসহ নির্মাণ প্রকল্পের কর্মকর্তাসহ প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু করে। ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রেলপথের বাংলাদেশ অংশ ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। করোনা মহামারিসহ নানা সংকটে দেড় বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে পাঁচ বছরেরও বেশি।