গাজায় ইসরায়েলের চলমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবিতে মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) ইস্তাম্বুল, লন্ডন, প্যারিস, বার্লিন, নিউজিল্যান্ড, হেলসিংকি, হ্যাসলহোমসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর রাজধানী শহরগুলোতে বৃহত্ পরিসরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধসহ স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা ও সেখানকার অধিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় হাজার হাজার সমর্থক অংশ নেয়। আনাদোলু এজেন্সি সূত্র জানিয়েছে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের নিশ্ছিদ্র বেষ্টনীর মধ্যে চ্যাটেলেট স্কয়ারে ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করে তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানায়। তারা 'মানবতা হত্যা করা হচ্ছে', 'গাজার পাশে প্যারিস রয়েছে', 'গণহত্যা বন্ধ করো' বলে স্লোগান দিতে থাকে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে লন্ডনে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। তারা ব্রিটিশ সরকারকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর দাবি জানায়। বিক্ষোভকারীরা টেমস নদীর তীর থেকে বিখ্যাত বিগবেন ঘড়ির কাছে সংসদের দিকে যায়। অবশ্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার চলমান যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে অস্বীকৃতি জানান এবং ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেন।
এদিকে গাজা উপত্যকায় গণহত্যার প্রতিবাদে তুরস্কের বড় শহরগুলোর পাশাপাশি ইস্তাম্বুলে বৃহত্ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, 'আমি আবারও বলছি, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। ইসরায়েল একটি দখলদার রাষ্ট্র। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার পেছনে হোতা পশ্চিমা শক্তি।'গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা।২৩ দিন ধরে হামাসের সঙ্গে চলমান এই যুদ্ধে গাজায় সাত হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে, যার ৬০ শতাংশই নারী ও শিশু। এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েলের আত্মরক্ষায় সমর্থন জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।