গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে এটি সর্ববৃহৎ ত্রাণ বহর। রোববার (২৯ অক্টোবর) পানি, খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে এসব ট্রাক মিসর থেকে রাফা সীমান্ত দিয়ে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে ঢোকে ৩৩ ট্রাক ত্রাণ। রাফা সীমান্তের মুখপাত্র ওয়ায়েল আবো ওমর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসিএইচও সোমবার পাঠানো গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্যে বলেছে, ‘এটি হচ্ছে ২১ অক্টোবরের পর গাজায় পাঠানো মানবিক সহায়তার বৃহত্তম চালান। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর ২১ অক্টোবর প্রথমবারের মতো সীমিত পরিসরে ত্রাণ সরবরাহ ফের শুরু করা হয়।’
তারা জানায়, ফের ত্রাণ সরবরাহ শুরু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত ১১৭ ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করেছে। গাজা উপত্যকা একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং অবিরাম ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের মুখোমুখি হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার আগে গাজায় প্রতিদিন প্রায় ৫শ’ ট্রাক সাহায্য এবং অন্যান্য পণ্য প্রবেশ করতো।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অনবরত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এতে গতকাল পর্যন্ত ৮ হাজার ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় এক হাজার মরদেহ পড়ে আছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীরেও হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২।
অন্যদিকে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩৩১ জন সেনা। এ ছাড়া নিজেদের বন্দীদের মুক্ত করে আনতে দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছেন হামাস যোদ্ধারা। জিম্মিদের বেশ কয়েকজন পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বৈত নাগরিক।