২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৯:৩৯:২৯ পূর্বাহ্ন


টোল দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১০-২০২৩
টোল দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পাড়ি দিয়ে টোল পরিশোধ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া


উদ্বোধনের পর বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১২টায় টানেলের অপর প্রান্তে পৌঁছে টোল পরিশোধ করেন তিনি।

এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে পতেঙ্গা প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলটি উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এরপর ১১টা ৫০ মিনিটে টানেলে প্রবেশ করে ৭ মিনিটে পাড়ি দেন তিনি। আগামীকাল রোববার (২৯ অক্টোবর) থেকে টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী প্রথমে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি এবং টানেল পার হয়ে আনোয়ারায় নদীর দক্ষিণ তীরে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর দুপুরে জনসভার মঞ্চে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভা শেষে তিনি ঢাকায় ফিরে আসবেন।
 
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, টানেলটি চট্টগ্রাম বন্দরকে সরাসরি আনোয়ারা উপজেলার সাথে সংযুক্ত করা ছাড়াও সরাসরি কক্সবাজারকে চট্টগ্রামের সাথে সংযুক্ত করবে।

৩৫ ফুট প্রস্থ এবং ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে তৈরি করা হয়েছে। ফলে ভারী যানবাহন সহজেই টানেলের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারবে। এই টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে।
 
টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার। যার সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের এপ্রোচ রোডের পাশাপাশি ৭৪০ মিটারের একটি সেতু রয়েছে। যা মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে টানেলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করবে এবং দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে।
 
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ হারে সুদে ৫,৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।