২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:২৪:৫৮ পূর্বাহ্ন


স্যাটেলাইট চিত্রে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের আগে-পরে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১০-২০২৩
স্যাটেলাইট চিত্রে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের আগে-পরে স্যাটেলাইটে চিত্রে ধরা পড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের আগে ও পরে-ইজবাত, বাইত হ্যানুন ও উত্তর গাজা


গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত ২১ দিনে গড়িয়েছে। এখনও প্রতিদিন অবরুদ্ধ গাজায় নারকীয় বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রায় ২০ হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
ফিলিস্তিনের গণপূর্ত ও আবাসন মন্ত্রী মোহাম্মদ জিয়ারা বলেছেন, ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনের ক্ষয়ক্ষতি নজিরবিহীন। আবাসিক এলাকা দেখলে মনে হবে কেউ ইরেজার দিয়ে মুছে দিয়েছে। হাসপাতাল, প্রার্থনালয়, বেকারি, পানি সরবরাহ কেন্দ্র, বাজার, শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে।

৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের গাজা উপত্যকায় প্রায় ২৩ লাখ লোকের বসবাস। ইসরাইলের বিমান হামলায় উপত্যকার ১৪  লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ লাখ ২৯ হাজার মানুষ জাতিসংঘ পরিচালিত ১৫০টি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
 
জাতিসংঘের হিউম্যানিটারিয়ান অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় গাজা উপত্যকার মোট আবাসন ইউনিটের (বাড়ি বা ফ্ল্যাট) প্রায় ৪৫ শতাংশ নানা মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাইত হ্যানুন, বাইত লাহিয়া, শুজাইয়া, শাতি আশ্রয়শিবিরের আশপাশ এবং খান ইউনিসের আবাসন আল-কিবরিয়া এলাকা।

ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা-বোমাবর্ষণে রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। সেই সঙ্গে অবরোধ দিয়ে গাজায় খাবার, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের পথও বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এতে গাজা উপত্যকাজুড়ে নেমে এসেছে মানবিক বিপর্যয়।

সবশেষ তথ্যানুযায়ী, চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ৩ হাজার শিশু রয়েছে। এছাড়া ইসরাইলে নিহত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার মানুষ।