প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে কোনো ডেডলাইন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চাইলেও, কোনো দলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতিত্ব নেই বলে সাফ জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
দুদিনের সফরে সম্প্রতি ঢাকায় আসেন মার্কিন উপ-সহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তার। সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলেন তিনি। তার সফরের পর একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল জানায়, আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস সে সময় জানায়, এমন খবরের কোনো সত্যতা নেই। এবার ডেডলাইনের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ বিষয়টি তুলে ধরে সময় সংবাদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সময় বেঁধে দিয়েছে কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে, বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্ন করেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে আওয়ামী লীগ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানাবে কি-না।
এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে অবগত আছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও অবাধ রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র আগেই আহ্বান জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ম্যাথিউ মিলার।