২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:১৬:৩৯ পূর্বাহ্ন


পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার ব্যাপকভাবে প্রসারিত করছে চীন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২৩
পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার ব্যাপকভাবে প্রসারিত করছে চীন পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার ব্যাপকভাবে প্রসারিত করছে চীন


চীন গত এক বছরে তার পারমাণবিক মজুদ উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছে। বর্তমানে চীনের কাছে প্রায় ৫০০ অপারেশনাল ওয়ারহেড রয়েছে বলে মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

পেন্টাগন কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বেইজিং ২০৩০ সালের মধ্যে তার অস্ত্রাগার দ্বিগুণ করে এক হাজারেরও বেশি ওয়ারহেড মজুদ করার আশা করছে। কিন্তু চীন বলেছে তারা ‘নো-ফার্স্ট-স্ট্রাইক’ পারমাণবিক নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের পরমানু অস্ত্র সম্পর্কে যা অনুমান করা হয়েছিলো তা ছাড়িয়ে গেছে। তবে চীনের মজুদ রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অনুসারে, রাশিয়ার কাছে প্রায় ৫৮৮৯ টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে ৫২৪৪টি।

২০২১ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ অনুমান করেছিল, চীনের কাছে প্রায় ৪০০ ওয়ারহেড রয়েছে।

পেন্টাগনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পরামর্শ দিচ্ছি যে চীন পূর্বের অনুমানগুলি অতিক্রম করার পথে রয়েছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেক উদ্বেগের ব্যপার।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষণা করেছেন, চীন ২০৪৯ সালের মধ্যে একটি ‘বিশ্বমানের সামরিক বাহিনী’ তৈরি করবে। ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণের চেষ্টা করছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বেইজিং সম্ভবত ২০২২ সালে তিনটি নতুন ক্লাস্টার মিসাইল সাইট নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে অন্তত ৩০০টি নতুন ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল সাইলো রয়েছে। এই ব্যালিস্টিক মিসাইলের রেঞ্জ ৫৫০০ কিলোমিটার।

মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিও দুরপাল্লার মিসাইল তৈরি করার চেষ্টা করছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, হাওয়াই এবং আলাস্কায় লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে সক্ষম হবে।

বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, তার পারমাণবিক মজুদ বৃদ্ধি সত্ত্বেও চীন " প্রথম স্ট্রাইকের 'প্রতিরোধ' নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে যখন তারা প্রতিরোধে ব্যর্থ হবে তখন 'পাল্টা হামলা' চালাবে।

শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, মার্কিন প্রতিবেদনটি কুসংস্কারে পূর্ণ এবং চীনের হুমকির তত্ত্বকে ছড়িয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবারের পেন্টাগনের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বেইজিং সাম্প্রতিক মাসগুলিতে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক চাপ বাড়িয়েছে।

প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং তার প্রতিরক্ষা প্রধানদেরকে ২০২৭ সালের মধ্যে জোরপূর্বক তাইওয়ান পুনরুদ্ধার করার জন্য সামরিক সক্ষমতা বিকাশের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তাইওয়ানের আকাশসীমায় ফ্লাইট বৃদ্ধি এবং এর জলসীমার চারপাশে একাধিক সামরিক মহড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্বীপটিকে অস্থিতিশীল করার জন্য, পেন্টাগনের প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে।

বুধবার ওয়াশিংটন চীনা বিমান বাহিনীর পাইলটদের অভিযুক্ত করেছে যে তারা প্রশান্ত মহাসাগরের উপর আন্তর্জাতিক আকাশে মার্কিন সামরিক বিমানের বিরুদ্ধে ‘জবরদস্তিমূলক এবং ঝুঁকিপূর্ণ’ কৌশল চালাচ্ছে।