পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে করা সাইফার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার বিশেষ আদালতে তাদের অভিযুক্ত করা হয়।
পাকিস্তানি সংবদামাধ্যম জিও নিউজ এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। সিআরপিসি ২৬৫-ডি-এর আওতায় এই দুই নেতা মামলা বন্ধের আবেদনের পরই তাদের অভিযুক্ত করা হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালিয়া কারাগারেই বন্দি আছেন পিটিআইয়ের উভয় নেতা। এদিন কারাগারের বাইরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফআইএ) শাহ খাওয়ার বলেন, ইমরান খানকে আজ অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং অভিযোগ আদালতে পড়ে শোনানো হয়েছে।
এর আগে গত আগস্টে তোষাখানা দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়। পরে অবশ্য সাজার রায় উলটে গেলেও তাকে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে রাখা হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগের মামলা সচল করা হয়।
মামলায় অভিযোগের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের প্রমাণ হিসেবে একটি তারবার্তা ফাঁস করতে চেয়েছিলেন।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বলছে, ওই তারবার্তার মাধ্যমে ইমরান প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ইমরানের ওই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
ইমরান খানের আইনজীবীরা বলছেন, এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের মক্কেলের সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
এদিকে আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন আগামী ২৭ অক্টোবর আদালতে মামলার সাক্ষীদের হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। সে পর্যন্ত আদালত মুলতবি করা হয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, আজ মামলার শুনানিকালে এই মামলায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন কুরেশি ও ইমরান।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর পিটিআইয়ের দুই নেতাকে অভিযুক্ত করার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এফআইএর চালানের কপি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে না পৌঁছানোর কারণে ২৩ অক্টোবর (সোমবার) পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত আগস্টে ইমরান খান ও কুরেশির বিরুদ্ধে সাইফার মামলা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, কূটনৈতিক তারবার্তাটি ইমরান খানের হাতে তুলে দেন সাবেক মুখ্যসচিব আজম খান। পরে তারবার্তাটি কোথায় রেখেছেন, ভুলে গেছেন বলে ইমরান খান তাকে জানান এবং বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও সেটা আর ফেরত দেননি।