২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৪৭:৫৩ পূর্বাহ্ন


নওয়াজের প্রত্যাবর্তন: কী ভাবছেন পাকিস্তানিরা?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১০-২০২৩
নওয়াজের প্রত্যাবর্তন: কী ভাবছেন পাকিস্তানিরা? ছবি: সংগৃহীত


পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ লন্ডনে চার বছরের স্বেচ্ছানির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে গত শনিবার (২১ অক্টোবর) দেশে ফিরেছেন। তার দেশে ফিরে আসায় পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর রাজনৈতিক ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করেছে। গ্যালাপ পাকিস্তান পরিচালিত একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

দ্য নিউজ সোমবার জানিয়েছে, টেলিফোনে পরিচালিত জরিপে চারটি প্রদেশের প্রায় ১০০ জেলা থেকে ১০০০ পুরুষ ও মহিলা অংশ নিয়েছেন। মিনার-ই-পাকিস্তানে নওয়াজের বক্তৃতার পরের দিন জরিপটি করেছে গ্যালাপ পাকিস্তান।

জরিপে প্রাপ্ত ৮টি মূল ফলাফল নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জিও নিউজ। এতে পাকিস্তানিদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলন ঘটেছে।

প্রথমত দেশটির প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ বলেছেন যে, তারা নওয়াজ শরিফের পাকিস্তানে ফিরে আসার বিষয়ে শুনেছেন বা পড়েছেন।


দ্বিতীয়ত প্রায় তিনজনের মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক বলেছেন, তারা মিনার-ই-পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফের বক্তৃতা শুনেছেন, অর্থাৎ এই অনুপাতে সারা দেশের প্রায় ৪ কোটি পুরুষ ও মহিলা তার বক্তৃতা শুনেছেন।


তৃতীয়ত   যারা নওয়াজের বক্তৃতা শুনেছেন, তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ বলেছেন— তারা বক্তৃতা পছন্দ করেছেন, আর ১২ শতাংশ বলেছেন যে, তারা বক্তৃতা পছন্দ করেননি। আর ৭ শতাংশ তাদের মিশ্র অনুভূতি প্রকাশ করেছে।


চতুর্থত ৫০ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, নওয়াজের পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন দেশ ও দেশবাসীর জন্য মঙ্গলজনক হবে। যেখানে ১৪ শতাংশ বলেছেন, এটি পাকিস্তানের জন্য খারাপ হবে। আর ১৮ শতাংশ জরিপে অংশ নিতে উদাসীনতা দেখিয়েছেন এবং তারা বলেছেন, তার প্রত্যাবর্তন সাধারণ মানুষের জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।


পঞ্চমত ৫১ শতাংশ বিশ্বাস করেন যে, নওয়াজের পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন পরবর্তী নির্বাচনে পিএমএল-এনকে জিততে সাহায্য করবে, যখন ২২ শতাংশ বলেছেন, এই বিষয়ে মন্তব্য করার মতো সময় আসেনি। তাই তারা প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। এ ছাড়া ২৬ শতাংশ বিশ্বাস করেন যে, এটি পিএমএল-এনের ক্ষতি করবে বা এতে কোনো পার্থক্য হবে না।


ষষ্ঠত সমঝোতা ও সংঘর্ষ এড়ানোর প্রশ্নে উত্তরদাতাদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে। কারণ ৭০ শতাংশ একমত পোষণ করেছেন যে, নওয়াজের উচিত ইমরান খানসহ সব রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করা, যাতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। পিটিআইপ্রধানের (ইমরান খান) সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব এড়ানো উচিত।


সপ্তমত ১০ জনের মধ্যে প্রায় চারজন উত্তরদাতা মনে করেন যে, নওয়াজ শরিফের পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন একটি নির্দিষ্ট চুক্তির অংশ ছিল। সর্বাধিক ৩৪ শতাংশ বলেন, তারা জানেন না তার প্রত্যাবর্তনে চুক্তি ছিল কিনা। তবে তার আগমন কোনো ধরনের চুক্তির অংশ ছিল- এমন প্রশ্নে দ্বিমত পোষণ করেছেন ২৭ শতাংশ।

সর্বশেষ, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে বের করে আনার ক্ষমতা কোন নেতার বেশি- এমন প্রশ্নের জবাবে ৩০ শতাংশ নওয়াজ শরিফের নাম বলেছেন। আর ২২ শতাংশ মনে করেন, ইমরান খানের ক্ষমতা রয়েছে দেশকে বর্তমান সংকট থেকে মুক্তি দেওয়ার।

এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, ৩০ শতাংশ পাকিস্তানি বিশ্বাস করেন, কোনো রাজনৈতিক নেতার দেশকে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের করার ক্ষমতা নেই।

অপরদিকে উত্তরদাতাদের তৃতীয় পছন্দ ছিলেন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো। ৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, তিনি পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের করতে পারবেন।