আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ডিসেম্বর পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের শেষ বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় আমরা সবকিছু অ্যাগ্রিমেন্টে এসেছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা নেক্সট ইনস্টলমেন্ট পাচ্ছি। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে সম্মতি পেয়েছি। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত উদ্যোগগুলোর মধ্যে আমরা কিছু সফল হয়েছি। কিছু পূরণ হয়নি। আমাদের প্রেক্ষিতগুলো বলেছি। বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর উভয়পক্ষ বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়েছি।
যেগুলো করতে পারিনি সেগুলো করার ব্যাপারে কী কী উদ্যোগ নিতে হবে সে ব্যাপারেও আমরা ঐকমত্য হয়েছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আশা করা যায়, আগামী ১১ ডিসেম্বর আইএমএফের যে বোর্ড সভা আছে সেই বৈঠকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার অনুমোদন হবে। এর পরপরই ঋণের টাকা পাব। মুখপাত্র বলেন, আইএমএফ ঋণ অনুমোদনের সময় আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিল। এর মধ্যে বেশকিছু শর্ত পূরণ করা হয়েছে। আইএমএফ বেশকিছু বিষয়ে নির্দিষ্ট শর্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। এ ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পায় বাংলাদেশ। এদিকে সরকারের সঙ্গে বৈঠকের শেষ দিন গতকাল এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত মিশন। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য প্রথম পর্যালোচনা শেষ করতে বিভিন্ন নীতির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তারা ঐকমত্যে পৌঁছেছে। প্রথম পর্যালোচনা শেষ হলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ পাবে।
তবে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বাংলাদেশ সফরকারী মিশন তাদের প্রতিবেদন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য জমা দেবে। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে পরিচালনা পর্ষদে তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।