নদী প্রবাহ, খাল-বিল ও জলাশয় ভরাট করে কোনো স্থাপনা বা প্রকল্প করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৬ অক্টোবর) গণভবন থেকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০টি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, নদীর পাড় বাঁধিয়ে শুধু ভাঙন রোধ করা যাবে না, তাহলে পলি পড়ে নদী ভরাট হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ব-দ্বীপ, বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে পলির দ্বারা। সারাবছর বৃষ্টিতে যে মাটি ধুঁয়ে যায়, বর্ষা এবং বন্যায় সেই পলিটা পড়ে আবার পুনর্ভরাট হয়। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন, যে অঞ্চলে বন্যা হয় সেখানেই কিন্তু পরের বার ফসল উৎপাদনটা বাড়ে। কারণ পলি পড়ার কারণে জমির উর্বরতা বাড়ে। পলির কারণে জমিটা ফসলের জন্য তৈরি হয়।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই প্রত্যেক এলাকাতে নদীনালা, খাল-বিল, পুকুর ও হাওড় বাওড় যা আছে সেগুলোতে যেন পানি সংরক্ষণ এবং পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করা হয় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খালগুলোর সঙ্গে নদীর সংযোগ স্থাপন করা হয় সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তাই পানি সংরক্ষণে নদী প্রবাহ ও খাল বিল ও জলাশয় ভরাট করে কোনো স্থাপনা বা প্রকল্প করা যাবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নদী-নালাগুলো মানুষের জীবনের মতো, এগুলোর প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। মানুষের হার্ট বন্ধ হলে যেমন মরে যায়, নদী-নালার প্রবাহ বন্ধ হলে দেশটাই মরে যাবে। শুধু পাড় বাধলেই হবে না, নদীর ড্রেজিংও করতে হবে। নদীমাতৃক দেশ আমাদের, তাই সরকার গঠনের পর থেকে নদীপথ সচল করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৮ সালে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা যেন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সব জায়গায় পানি সরে যাওয়ার জন্য জলাধার রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে।
একই সঙ্গে দেশের ৬৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি আই সেন্টার’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।