নতুন রাজনৈতিক কৌতূহল তৈরি করে দিলেন শাসক তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। জোড়া টুইটে তিনি মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন। কুণাল দাবি করেছেন, রাজ্যের এক শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশকে চিঠি দিয়েছেন এক জন বিশিষ্ট শিল্পী। অভিযুক্ত সাংবিধানিক ভাবে সুরক্ষিত থাকায় পুলিশ আইনি পদক্ষেপ করতে পারছে না। এতটা লিখলেও অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তের নামোল্লেখ করেননি কুণাল। তিনি কাদের সম্পর্কে বলতে চেয়েছেন তার কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিতও দেননি। তবে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বিষয়টি নবান্নকে জানিয়েছে।
রবিবার কুণাল মোট দু’টি টুইট করেছেন। প্রথমটি বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল দিল্লি। অভিযোগকারিণীর চেন্নাই, কোচি, দিল্লিতে যাতায়াত আছে। অভিযুক্ত সাংবিধানিক রক্ষাকবচে আছেন। নগরপাল অভিযোগের চিঠি-সহ ফাইল নবান্ন সচিবালয়ে পাঠিয়েছেন।’’ এর বেশি কিছু না লিখে কৌতূহল তৈরি করতে নীচে ‘‘আপাতত এইটুকু।’’ বলে জানিয়েছিলেন কুণাল।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা কুণালের এই টুইটের পর থেকেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর পরিচয় নিয়ে। তৈরি হয় কৌতূহল। আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। এর পরে বিকেল ৩টে নাগাদ তিনি আবার একটি পোস্ট করেন এক্স হ্যান্ডেলে। সেখানে লেখেন, ‘‘রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় এক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে যিনি ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে চিঠি দিয়েছেন, তিনি একজন কৃতী মহিলা, ওড়িশি নৃত্যের বিশিষ্ট শিল্পী। মালয়লম ভাষাতেও পারদর্শী। অভিযুক্ত ব্যক্তির পদ সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত। তাই পুলিশি পদক্ষেপে আইনি বাধা।’’ এই পোস্টটির শেষেও কুণাল ‘‘আপাতত এইটুকু।’’ লিখে কৌতূহল জিইয়ে রেখেছেন।
দিন গড়ালে কুণাল আরও কিছু জানান কি না এবং পরিচয় প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন কি না তা নিয়েই আপাতত জল্পনা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।