ভারতে ট্রাক-মিনিবাস সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭ জনই নারী ও শিশু। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন।
রোববার (১৫ অক্টোবর) ভোররাতে দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যে এই দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ভোররাতে মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলার সমৃদ্ধি এক্সপ্রেসওয়েতে দ্রুতগামী একটি মিনি-বাস একটি কন্টেইনার ট্রাককে ধাক্কা দিলে কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, দুর্ঘটনাকবলিত ওই প্রাইভেট বাসে ৩৫ জন যাত্রী ভ্রমণ করছিলেন। তারা বুলধানা জেলার সাইলানি বাবা দরগা পরিদর্শন করে নাসিকে ফিরছিলেন বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এদিকে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল (পিএমএনআরএফ) থেকে ২ লাখ রুপি করে এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের মতে, মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলা সদর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার এবং রাজ্যের রাজধানী মুম্বাই থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক্সপ্রেসওয়ের ভাইজাপুর এলাকায় রোববার মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পরই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মূলত বাস চালানোর একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। ফলস্বরূপ বাসটি জাম্বরগাঁও টোল প্লাজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে দুর্ঘটনাকবলিত মিনি বাসটি অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছিল। এটিতে ১৭ জন যাত্রী বহনের ক্ষমতা থাকলেও ঘটনার সময় প্রায় ৩৫ জন যাত্রী এতে ভ্রমণ করছিলেন বলে ভাইজাপুর থানার একজন কর্মকর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন।
দুর্ঘটনায় ১২ জন যাত্রী নিহত হন। ভাইজাপুর থানার পরিদর্শক শ্যামসুন্দর কাভথালে জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, ছয়জন নারী এবং একটি নাবালিকা শিশু রয়েছে।
দুর্ঘটনায় আরও ২৩ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বাসের চালকও রয়েছেন।