ভারতের সিকিমে ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। এদের মধ্যে ৭ সেনাসদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক মানুষ। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান জোরদার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
হঠাৎ বৃষ্টিতে আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে তিস্তা। পানির স্রোতের তাণ্ডবে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, সেনাছাউনিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। শুধু তা-ই নয়; প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় সিকিমে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
পাহাড়ি ঢলে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও শিলিগুড়ির তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ছাড়াও মরদেহ ভেসে আসছে বাংলাদেশেও। সময় যত বাড়ছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। তাদের সন্ধানে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা।
সিকিম সরকারের তথ্যানুসারে, এখনও ১৪০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ১ হাজার ১৭৩টি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে আর ২ হাজার ৪১৩ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সিকিমের বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছেন কয়েক হাজার পর্যটক। আতঙ্কে দিন কাটছে হোটেলবন্দি পর্যটকদের। এ অবস্থায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করে প্রায় দেড় হাজার পর্যটককে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ব্যাপক বর্ষণে সিকিমের লোনাক হ্রদ উপচে পড়েছে। পরে পানি নেমে আসে চুংথাম বাঁধে। পানির প্রবল চাপে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর পানি ছেড়ে দেয়ায় ঢল নামে তিস্তায়, উপচে পড়ে তিস্তা ব্যারেজ। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহারসহ বিভিন্ন জেলায় রেড অ্যালার্ট বহাল আছে।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে বিপর্যয়কর আখ্যা দিয়ে রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে নিম্নমানের নির্মাণ প্রকল্পের জন্য দায়ী করেছেন সিকিমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।