নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ছোট যমুনা নদীর বেড়িবাঁধের দুইটি এবং আত্রাই উপজেলার আত্রাই নদীর একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে দুই উপজেলার ৮/১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পরেছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার। এছাড়া পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে আমন ধান,ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বুধবার গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এই বাঁধগুলো ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।তারা বলছেন,দ্রæতই পানিবন্দি পরিবারগুলোকে খাদ্যসহায়তাসহ সার্বিক সহায়তা করা হবে।
রাণীনগর উপজেলার নান্দাইবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন,গত দুই/তিন থেকে হঠা’ করেই ছোট যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বুধবার গভীর রাতে নান্দাইবাড়ী হাফেজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে পানির তোরে মাদ্রাসার একটি কক্ষের ইটের দেয়ালও ভেঙ্গে যায়।এছাড়া আধা কিলোমিটার দুরেই দক্ষিন নান্দাই বাড়ীর বেরিবাধ ভেঙ্গে যায়।এতে ওই এলাকার কিষ্টপুর,মালঞ্চি,নান্দাইবাড়ীসহ কয়েকটি গ্রামের মধ্যে পানি ঢুকে পরে। এতে প্রায় ৪/৫শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছে। এছাড়া ওই এলাকার পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া জমির ধান,সবজি পানিতে তলে গেছে।
রাণীগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান জানান,বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় দেড়/দুইশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে। কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক বলেন,বন্যার পানিতে ওই এলাকার প্রায় ২০ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। ডুবে গেছ সবজি ক্ষেত। মৎস্য কর্মকর্তা শিল্পী রায় জানান,২৩টি পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ২৬লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
আত্রাউ উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বলেন,বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আত্রাই নদীর নন্দনালী বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে ওই এলাকার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আত্রাই-বান্দাইখাড়া পাকা সড়কের নন্দনালী সরদারপাড়া তালতলা এলাকায় পাকা সড়ক পানির তোরে ভেঙ্গে গেছে।
আত্রাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন,বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে প্রায় একহাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে। কৃষি কর্মকর্তা জানান,বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ১০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন,সকাল থেকেই আমরা দূর্গত এলাকায় রয়েছি এবং ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া দূর্গতদের জন্য খাদ্যসহায়তা থেকে সার্বিক সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। আসা করছি খুব দ্রæতই আমরা সহযোগিতা করতে পারবো।