আগ্রাসন থামাতে ব্যর্থ রাষ্ট্রসংঘ। হানাদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রেও অচলাবস্থা আন্তর্জাতিক মঞ্চে। রুশ আগ্রাসনের নিন্দায় এভাবেই অত্যম্ত কড়া ও স্পষ্ট ভাষায় রাষ্ট্রসংঘের সংস্কার দাবি করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বুধবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য পেশ করেন জেলেনস্কি। অত্যন্ত চাঁচাছোলা ভাষায় রাষ্ট্রসংঘের সমালোচনা করেন তিনি। সংস্কারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “হানাদারদের (পড়ুন রাশিয়া) হাতে ভেটো পাওয়ার রাষ্ট্রসংঘকে কার্যত অচল করে তুলেছে। আপনি যেই হোন না কেন, বর্তমান পরিকাঠামোয় যাদের হাতে ভেটো রয়েছে তাদের সামনে আপনারা দুর্বল। এই ক্ষমতার অপব্যবহার করছে রাশিয়া। এর ফলে সমস্ত সদস্য দেশগুলোর ক্ষতি হচ্ছে। এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। সার্বভৌমত্ব ও দেশের সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের প্রতি আর কোনও আশা রাখে না কেউ। এতদিন ধরে চলা সংস্কারের আলোচনাকে বাস্তবায়িত করতে হবে এবার।”
এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে পালটা তোপ দেগেছে রাশিয়া (Russia)। শুরুতে ইউক্রেনের অংশগ্রহণ নিয়েই আপত্তি তোলে তারা। শেষমেশ তা মেনে নিয়ে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ অভিযোগ করেন, “ভূকৌশলগত ফায়দা তুলতে সময়ে সময়ে রাষ্ট্রসংঘের নীতি বা মূল্যবোধের দোহাই দেয় পশ্চিম। রাশিয়া সবসময় সার্বিকভাবে এই নীতি মেনে চলার পক্ষে।”
উল্লেখ্য, সময় পালটেছে। বদলেছে বিশ্বমানচিত্র। ভলগা থেকে ব্রহ্মপুত্রে বয়ে গিয়েছে কত জল। কিন্তু আজও সেই প্রাচীন ধারণা আঁকড়ে রয়েছে রাষ্টসংঘ। আজও নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার হয়নি। দুশো বছরের পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে মহাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও ঠাঁই হয়নি ভারতের। এই প্রেক্ষাপটেই দিন কয়েক আগেই রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ‘নতুন’ নিরাপত্তা পরিষদের ছবি এঁকেছিলেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও সেই একই দাবি তুললেন।