নওগাঁর সাপাহারে চাষকৃত পুকুরে জোরপূর্বক প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মাছ নিধন করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার করঞ্জবাড়ি পূর্ব পাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র আব্দুস সালাম (৪৫) এর চাষকৃত পুকুরে।
মামলা সূত্রে ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সূত্রে জানা যায় যে, ১০ বছর পূর্বে আব্দুস সালাম করঞ্জু বাড়ি মৌজার ৩৭৪ নং দাগের, প্রস্তাবিত খতিয়ান ১/১ এর ৯৮ শতক পুকুরটি শরিকানাধীন আইয়ুব আলীর পুত্র ইদ্রিস আলী, আফাজ উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন, মৃত ইয়াসিন আলী পত্র মনসুর আলী, মৃত ইয়াকুব আলীর পুত্র সাইফুদ্দিন, মৃত বসির উদ্দিনের পুত্র তছির উদ্দিন, আফলু মন্ডল ও মহির উদ্দিন, মৃত্যু চাঁন মোহাম্মদ এর পুত্র সফির উদ্দিন দ্বয়ের নিকট হতে মাছ চাষের জন্য ইজারা গ্রহণ করেন। ইজারা পত্রে মৃত্যু ব্যক্তিদের পক্ষে তার সকল ওয়ারিশগণ সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায় যে উক্ত পুকুরটির মূল মালিক আইয়ুব আলী। তার নামে সিএস রেকর্ড রয়েছে এবং পরবর্তীতে ভুলবশত সরকারের নামে এস এ ও আর এস রেকর্ড হলে পরবর্তীতে ওয়ারিশগণ সরকারের সাথে মামলা চালিয়ে ডিগ্রি লাভ করে। যাহা মিস কেস করার পর হোল্ডিং চালু হলে খাজনা খারিজ বর্তমান অবধি পরিষদ রয়েছে। যাহা দীর্ঘ ১০ বছর চাষাবাদের পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টা হইতে বিকেল পর্যন্ত সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মাছ নিধন করে বাজারে বিক্রয় করে।
এ বিষয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আব্দুস সালাম বাদী হয়ে একই গ্রামের ৩৯ জনকে বিবাদী করে নওগাঁ বিজ্ঞো ৬ নং আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ২৬৪/২৩। এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষদের সাথে কথা হলে তারা জানান সালাম পক্ষদ্বয় ব্রিটিশ আমল হইতে ভোগ দখল করে আসছে বর্তমানে আমরা জানতে পারি পুকুরটি সরকারি খাসপুকুর তাই গ্রামের লোকজন দলবদ্ধ ভাবে মাছ মেরেছি।
মাছ নিধন বিষয়ে বিবাদী হেলাল হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি মাছ মারার কথা স্বীকার করেন।