আয়ের পথ হিসেবে বয়স্কদের সাথে ভ্রমনের পথ বেছে নিয়েছেন তরুণী। সেই পেশাতেই তাঁর বছরে আয় প্রায় চার কোটি টাকা। এই পেশার সুবাদে একইসঙ্গে পৃথিবীর অনেকটা জায়গাই যেমন তাঁর ঘোরা হয়ে গেছে, তেমনই ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সও বেড়ে চলেছে দিন কে দিন। কিন্তু কেবল বেড়াতে গিয়েই কি এত টাকা উপার্জন করেন তিনি? উঁহু, সেইখানেই রয়েছে ছোট্ট টুইস্ট। আসলে একা বেড়াতে যান না ওই তরুণী। বয়সে বড় কোনও ব্যক্তি, মধ্যবয়স্ক বা প্রৌঢ়, এমন পুরুষদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়াই তাঁর পেশা। সোজা কথায়, অর্থের বিনিময়ে একজন সঙ্গিনীর সঙ্গে সফরে যেতে চান ওই ব্যক্তিরা। আর সেই সঙ্গিনীর ভূমিকাটিই পালন করে থাকেন পামার কেলি নামের ওই তরুণী।
বছর ২৭ বয়সের ওই তরুণী আমেরিকার ফ্লোরিডার বাসিন্দা। কিন্তু এই বয়সেই লাস ভেগাস থেকে প্যারিস সব জায়গাই ঘোরা হয়ে গিয়েছে তাঁর। শুধু ঘোরাই নয়, নামীদামি হোটেলে রাত কাটানো থেকে বিমানের বিজনেস ক্লাস কিংবা প্রমোদতরীতে ভ্রমণ, কী অভিজ্ঞতা নেই তাঁর! যদিও এই কাজ তিনি করেন বাড়তি উপার্জনের জন্য। মূলত অভিনয় করা, চিত্রনাট্য লেখাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন কেলি। ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্কে এই বিষয়েই পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই বাড়তি আয়ের জন্য তিনি স্ট্রিপিং-এর পেশায় নাম লেখান।
দর্শকের সামনে এক এক করে পোশাক খুলে ফেলে এক রাতেই ৭০০ থেকে ১০০০ ডলার পেতেন তিনি, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮০ হাজার টাকা। সেখান থেকেই এই নয়া পেশার সন্ধান পান ওই তরুণী। তাঁর বক্তব্য, তাঁর ক্লায়েন্টদের বয়স সাধারণত ৪০-৪৫ হয়ে থাকে। কিন্তু ওই পুরুষদের সঙ্গে ঘুরতে ভালোই লাগে তাঁর। এমনকি কখনও কখনও কোনও দম্পতির সঙ্গেও ঘুরতে যেতে হয় তাঁকে।
যৌনতা যে এই পেশার একটি বড় অংশ, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে তা নিয়েও কোনও ছুঁতমার্গ নেই তাঁর। বরং যে কোনও কাজ করার বদলে পছন্দসই কাজ করে যে তিনি বেশি রোজগার করতে পারছেন, এ নিয়ে খুশিই আছেন পামার কেলি।